বিজেপির তাণ্ডবে আক্রান্ত বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভাঙা হল মূর্তি

কলকাতা: মিত শাহর রোড শো’র মাঝেই ধুন্ধুমার বাধে কলেজ স্ট্রীটের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। এদিন অমিত শাহর পদযাত্রা যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছায় তখন সেখানে টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। এর পালটা হিসাবে বিজেপি-র ওই পদযাত্রা থেকেও কর্মী সমর্থকরা ইঁট, পাথর, লোহার রড, বাঁশ, লাঠি জলের বোতল সবই ছোঁড়েন। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে

বিজেপির তাণ্ডবে আক্রান্ত বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভাঙা হল মূর্তি

কলকাতা: মিত শাহর রোড শো’র মাঝেই ধুন্ধুমার বাধে কলেজ স্ট্রীটের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। এদিন অমিত শাহর পদযাত্রা যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছায় তখন সেখানে টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। এর পালটা হিসাবে বিজেপি-র ওই পদযাত্রা থেকেও কর্মী সমর্থকরা ইঁট, পাথর, লোহার রড, বাঁশ, লাঠি জলের বোতল সবই ছোঁড়েন।

পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে মারমুখি হয় ওঠেন পড়ুয়ারাও। তবে পদযাত্রা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পদযাত্রা বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে গেলে সেখানেও চলে ইটবৃষ্টি। এখানে কলেজের গেটের সামনে একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অমিত শাহর রোড শোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। নজিরবিহীন বিক্ষোভ অমিত শাহর বিরুদ্ধে। বিজেপি ও টিএমসিপি সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বচসা। অমিত শাহর কনভয় এলাকা থেকে চলে যেতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা।

পুলিশের ব্যরিকেট ভেঙে একদল বিজেপি সমর্থক ঝাঁপিয়ে পড়েন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মুহুর্তের মধ্যে গোটা চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের মূল ফটক। দরজার ভিতরে অমিত শাহর বিরুদ্ধে চলতে থাকে স্লোগান।

পাল্টা স্লোগান দেওয়া হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে থেকেও। পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেই জানা গেছে। একই ঘটনার সৃষ্টি হয় বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর মিছিল বিবেকানন্দ রোডের সামনে যেতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিদ্যাসাগর কলেজের পড়ুয়া। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তিনটি বাইক। মুহুর্তের মধ্যে এলাকার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 6 =