বিজেপিকে হারাতে কী করে হয় তৃণমূল জানে! গর্জন অভিষেকের

বিজেপিকে হারাতে কী করে হয় তৃণমূল জানে! গর্জন অভিষেকের

আগরতলা: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আজ বিকেলে অবশেষে জামিন হয়েছে ত্রিপুরায় গ্রেফতার হওয়া ১৪ জন তৃণমূল নেতাদের। সেই জামিনের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, তাদের কী ভাবে হারাতে হয় তা তৃণমূলের খুব ভাল করেই জানা আছে। একইসঙ্গে দাবি করেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত। 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যাঁরা মার খেল, তাঁদেরই গ্রেফতার করছে পুলিশ। এখানে শাসকের আইন চলছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এরপরে জানান, তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে, পাথর ছুড়ে দমানো যাবে না। আগামী নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে ছা়ড়বে তৃণমূল। বিজেপিকে কী ভাবে হারাতে হবে তা তাঁরা ভালই জানেন। অভিষেক আরও দাবি করেন, ত্রিপুরাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা ডবল ইঞ্জিনের কথা বলে, তাও এই রাজ্যের এই অবস্থা, কটাক্ক করেন অভিষেক। 

উল্লেখ্য, আজ ত্রিপুরায় ধৃত ১৪ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার জামিন হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান দেবাংশুরা। জামিন মঞ্জুর করে ত্রিপুরার খোয়াই আদালত। জামিন অযোগ্য মামলা খারিজ করেন বিচারক। অতিরিক্ত মামলায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মূল মামলায় জামিন পাল দেবাংশু, সুদীপ, জয়ারা। ত্রিপুরায় পৌঁছে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোয়াই থানা, যেখানে তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে রাখা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রেফতার হওয়া সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরা৷ এদিকে আবার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 7 =