বেজিং: করোনা পরিস্থিতিতে একবছরের মত স্থগিত অলিম্পিক গেমস আগামী বছরও জাপানে আয়োজন করা সম্ভব কিনা তা নিয়েই অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন টোকিও গেমসের প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুটো। তবে বিগত একমাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক সাফল্যের পর পিছিয়ে যাওয়া অলিম্পিক ২০২০-তেই ফিরিয়ে আনা যায় কিনা তার নিয়েও কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
আর এবার এই প্রথম সরকারি আধিকারিক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জাপানের অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর স্বভাবতই সেই কৌতূহল আরও বাড়বে। তবে শুক্রবার বৈঠকের পর মুটো স্পষ্ট জানিয়েছেন, অলিম্পিক ২০২০ আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি ভ্যাকসিন সেই অর্থে কোনো ছাড়পত্র নয়। মুটো বলেন, এনিয়ে আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আলোচনা হয়েছে। ভ্যাকসিন অলিম্পিক আয়োজনের শর্ত নয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। একটি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেলে অবশ্যই তাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এই গেমসের জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর হবূ। কিন্তু অলিম্পিক এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি কোনো শর্ত হতে পারেনা।
ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপটে স্থগিত করা হয়েছে এবছরের অলিম্পিক। এর জন্য বহু অর্থ ব্যয় হয়েছে জাপানের। যত দেরি হবে খরচের বোঝা ততই বাড়তে থাকবে। তবে অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী কয়েক মাস ধরে টাস্কফোর্সের এই ধরণের বৈঠক চলবে। যেখানে জাপানে অ্যাথলিটদের প্রবেশ, কোভিড – টেস্টিং, ভেন্যুগুলিকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা, অ্যাথলিটদের ভিলেজ-অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবস্থা, প্রবাসী খেলোয়াড়দের ইস্যু এবং ক্রীড়া প্রেমীদের অবস্থানের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। করোনা আবহে এবছরের অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তে ২০২১-এর ২৩ জুলাই থেকে অলিম্পিক শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০২১-এর ২৪ আগস্ট থেকে প্যারালিম্পিকস শুরু হওয়ার কথা ছিল।