নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, নতুন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে ‘ককটেল’ ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এই মিশ্রিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ইতিমধ্যেই সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মিশে যেতে চলেছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন। ‘ককটেল’ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন সেরাম কর্তা সাইরাস পুনাওয়ালা। তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তাঁর কথায়, এটি বড় ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
সেরাম কর্তার মতে, এমন করে টিকা দেওয়ার কোনও দরকারই নেই। এরপর কোনও ভুলত্রুটি হলে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করবে। আর সবথেকে বড় কথা, মিশ্র ভ্যাকসিন যে আদতে মানুষকে সুরক্ষা দেবে তা এখনও আদৌ কোথাও প্রমাণিত হয়নি। তাই কেন্দ্রের সরকারের এই সিদ্ধান্ত তিনি মানতে পারছেন না। কার্যত নাম না করেই এর বিরোধিতা করছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, এই ভাবে টিকা দিলে বড় ক্ষতিও হতে পারে। উল্লেখ্য, সূত্রের খবর, ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজে এই মিশ্রিত টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ‘ককটেল’ ভাইরাস কতটা কার্যকরী সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন – NRC ঠিক কবে থেকে লাগু? সংসদে স্পষ্ট করল কেন্দ্র
এর আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর অন্য ধরনের ককটেল ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে। ৬ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথমে কোভিশিল্ড এবং পরে কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরে জানানো হয়েছিল যে এই ‘ককটেল’ ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেয় করোনাভাইরাস প্রজাতির বিরুদ্ধে। যদিও এবার এই মিশ্রিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে চলেছে বলে খবর। আগে অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে দুটি ভ্যাকসিন কোন ভাবেই একই জনকে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যিনি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাকে পরের ডোজে সেটাই নিতে হবে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী ককটেল ভ্যাকসিন প্রয়োগের আলোচনা শুরু হয়।