আগরতলা: এ যেন সেই রাম না জন্মাতেই রামায়নের কাহিনী হয়ে ওঠার মতো৷ নির্বাচন হতে এখনও বাকি প্রায় দেড় বছর৷ সেই ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। অথচ ২০২১ সালেই যেন বিজেপি- তৃণমূল তর্কযুদ্ধ চরমে। বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে যেন কাঠি পড়ে গেল। এক তরফের লক্ষ্য গদি বাঁচানোর অন্য পক্ষের লক্ষ্য গদি দখল৷ দু’পক্ষেরই পাখির চোখ ২০২৪। সেখানেও গদি সামলানো বনাম গদি ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই৷
স্বভাবতই নজরে ত্রিপুরাষ একঝাঁক তৃণমূল নেতা এলেন ত্রিপুরাতে৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ২০১৬ সালে ত্রিপুরায় মুকুল, সব্যসাচী ছাড়া আর কাউকেই তেমন দেখা যায়নি। তৃণমূল সুপ্রিমো সমাবেশ করলেও এবারের আবহ যেন পাল্টে দিয়েছে ঘাসফুল। শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ত্রিপুরা সফরে এলেন। সাত সকালেই আগরতলা বিমানবন্দর যেন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বরণে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই রাজ্যে পা রাখেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আগে থেকেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তারপর একে একে আসতে শুরু করেছেন সাংসদ অপরুপা পোদ্দার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ অন্যান্যরা। পড়ন্ত বিকেলে ত্রিপুরা সফরে আসেন সাংসদ আবু তাহের, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সন্ধ্যায় আবির বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডলেরা৷ তারা আগরতলার একটি হোটেলে উঠেছেন৷
ঘটনাচক্রে তৃণমূলের শীর্ষনেতা হাজির হতেই দলের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয় যোগদান অনুষ্ঠানে৷ যুব কংগ্রেস নেতা শান্তনু সাহার নেতৃত্বে অনেকেই যোগ দিয়েছেন তৃনমূলে। ব্রাত্য বসু সহ অন্যান্যরা এদিন তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে বরণ করে নেন। প্রত্যেক নেতৃত্বই দাবি করেন, ২০২৩ সালে ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল।