কলকাতার প্লে-অফে যাওয়ার আশা একাই ছিনিয়ে নিলেন জাদেজা, কোণঠাসা নাইটরা

কলকাতার মরণ-বাঁচন ম্যাচে নাইটদের মরণ কামড় দিল চেন্নাই সুপার কিংস।

4c2260611cefba710e85ecff523959a7

আবু ধাবি: কলকাতার মরণ-বাঁচন ম্যাচে নাইটদের মরণ কামড় দিল চেন্নাই সুপার কিংস। প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত করতে এই ম্যাচটা জিততে হত কলকাতাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধোনির চেন্নাইয়ের কাছে হার মানতে বাধ্য হল তারা। এক কথায় বলা যায়, রবীন্দ্র জাদেজার কাছে হার স্বীকার করলো মর্গান বাহিনী।

শেষ দু’ ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৩০ রান! ডেবিউ ম্যাচে অনবদ্য বল করা লকি ফার্গুসন যখন বল করতে এলেন তখন কলকাতার ফ্যানেরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছিলেন। কিন্তু এই ওভারেই কার্যত ম্যাচ বের করে নিল চেন্নাই। এক ওভারেই চেন্নাই প্রায় জয়ের পথে চলে গেছিল। শেষ ওভারে বল করতে আসেন অনভিজ্ঞ নাগারকোটি। ওভার দারুণভাবে শুরু করলেও শেষ তিন বলে দুটো ছয় কলকাতার শুভমান গিল, নিতিশ রানা লড়াই অসফল করে দিল। 

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। লক্ষ্য ছিল কলকাতার টপ অর্ডারে ধস নামানো। কিন্তু দুই কেকেআর ওপেনার গিল এবং রানা শুরুটা ভালই করেন। তবে ২৫ রানে গিল ফিরতেই দ্রুত আরও দু’‌টি উইকেট হারায় কলকাতা। নারিন এবং রিঙ্কু সিং দু’‌জনেই ব্যর্থ হন। তবে ফর্মে ছিলেন নীতীশ রানা। ৬১ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে, কার্তিক অপরাজিত ২১ রানের সৌজন্যে কেকেআর ২০ ওভারে ১৭২ রান করে।

যদিও চেন্নাইয়ের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন রুতুরাজ গাইক্বাদ। ওয়াটসন আউট হয়ে যাওয়ার পর রাইডার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। এরপর একে একে রাইডু এবং ধনী আউট হয়ে যাওয়ার পর পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল চেন্নাই। অবশেষে রুতুরাজের উইকেট পড়ার পর নাইটরা ভেবে নিয়েছিল ম্যাচ হয়তো তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই জাদেজার কাছে হারতে হল তাদের।

উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। বলেছিলেন, এবারে পুরোপুরি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবেন। পরে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের হাতে দলের ব্যাটন যায়। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষলগ্নে এসে দেখা যাচ্ছে দুটোর কোনওটাই ঠিক হল না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *