নয়াদিল্লি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিষয়ে তিনি নিজে টুইট করে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা তো হয়েছেই, এছাড়াও ভারত এবং রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই ফোনালাপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বেশি দৃঢ় করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি আফগানিস্তান ইস্যুও আন্তর্জাতিকভাবে আরো বেশি গুরুত্ব পাবে।
আরও পড়ুন- ‘মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিত’, আফগানিস্তানে বাইডেনের পদক্ষেপে কটাক্ষ ট্রাম্পের
এদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে টুইট করে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে তাঁর বন্ধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং একই সঙ্গে ভারত এবং রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়েও বিশদে আলোচনা করেছেন তারা। আফগানিস্তান তালিবান দখল করে নেওয়ার পর সব থেকে আগে যে দেশগুলি তালিবানের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। পাকিস্তান এবং চিনের পাশাপাশি রাশিয়া এই মনোভাব পোষণ করায় স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। তাই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে আলোচনা যে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
Had a detailed and useful exchange of views with my friend President Putin on recent developments in Afghanistan. We also discussed issues on the bilateral agenda, including India-Russia cooperation against COVID-19. We agreed to continue close consultations on important issues.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2021
এর আগে আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে ভারতের তরফে জানানো হয়েছিল, বাকি সব দেশের মত ভারতও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই মুহূর্তে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা প্রথম লক্ষ্য। এককথায়, তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভারতের। তালিবানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়ে বলেন, মানবতাকে চিরকাল ধামাচাপা দেওয়া যায় না এবং যারা সন্ত্রাস করে সাম্রাজ্য স্থাপন করে তাদের সেই সাম্রাজ্য চিরস্থায়ী হয় না। ক্ষমতা ধ্বংস করা যাদের উদ্দেশ্য এবং যারা সন্ত্রাস করে সরকার গঠন করে তারা কখনোই চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।