নয়াদিল্লি: আমাদের দেশে বহু ধনী মন্দিরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে৷ এই সম্পত্তির মালিক কে? ঈশ্বর না পুরোহিত? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ বুধবার এই প্রশ্নের জবাবে সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, মন্দিরে দেবতার বাস৷ মন্দিরের সম্পত্তিও দেবতারই। পুরোহিত মন্দিরের সম্পত্তির দেখভাল করতে পারেন৷ কিন্তু সেই সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করতে পারেন না৷
প্রসঙ্গত, সম্পত্তি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকার৷ জানা গিয়েছে ভূমিশ্বরের অধিকার নিয়ে মামলা করেছিলেন পুরোহিতরা৷ সেই মামলায় জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে৷ শীর্ষ আদালতের রায়ের পর, কোনও ভাবেই পুরোহিতরা আর দেবত্ব সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না৷ বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, মন্দিরের সম্পত্তি পরিচালনার উদ্দেশ্যে পুরোহিত জমি সংক্রান্ত কাজ করতেই পারেন। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় ‘মালিক’ কে? তাহলে বলতেই হবে, মালিক স্বয়ং ঈশ্বর৷ তবে তাঁরা এটাও জানান, আগের মতোই মন্দির দেখভালের কাজ পুরোহিতরাই করবেন৷
এইদিন রায় ঘোষণার সময় ব্যক্তিগত মন্দির এবং জনসাধারণের মন্দিরের ধারণাও স্পষ্ট করেছে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ। যাতে ভবিষ্যতে সম্পত্তি নিয়ে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়৷ এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বাড়িতে থাকা মন্দিরের সম্পত্তির অধিকারী বাড়ির মালিক। কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য যে দেবতার মন্দির তৈরি হয়েছে, তার মালিক স্বয়ং ঈশ্বর। পুরোহিতরা কখনও তার মালিকানা দাবি করতে পারেন না।