ধনুষকোডি: ফাইট কোনি ফাইট! সিনেমার দৃশ্যটা আজও একই রকম উজ্জ্বল৷ সেটি ছিল সাঁতার প্রতিযোগিতার দৃশ্য৷ তবে এটি সিনেমার দৃশ্য নয়, বাস্তবে এক কোনির ফাইটের গল্প উঠে এল৷ ১৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার সাঁতার কেটে নতুন রেকর্ড গড়লেন হায়দরাবাদের এক মহিলা ৷ ৪৮ বছরের শ্য়ামলা গোলি শ্লীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে সাঁতরে তামিলনাড়ুর ধনুষকোডির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন৷ প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে শ্যামলাই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ৷ বিশ্বের নিরিখে দু’নম্বরে রয়েছেন তিনি৷
ভোর ৪.১৫ মিনিটে জলে নেমেছিলেন শ্যামলা ৷ সন্ধে ৫.৫০ মিনিটে তাঁর সফর শেষ হয় ধনুষকোডির আরিচল মুনাই সৈকতে৷ টানা ১৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সাঁতার কেটে লক্ষ্যে পৌঁছন তিনি৷ লক্ষ্যে পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বহু সাঁতারুই ইলিংশ চ্যানেল পাড়ি দিতে চান, আমি সেটাই ভারতে করতে চেয়েছি৷ তাই রাম-সেতুকে বেছে নিয়েছিলাম৷ একবছর আগে এক উচ্চপদস্থ আইপিএস কর্তা রাজেশ ত্রিবেদি আমাকে এটা করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন৷ আমি গত চার বছর ধরে সাঁতার কাটছি৷ গত বছরই আমি এখানে আসার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু করোনার জন্য তা বাতিল করতে হয়৷ আমি এবছর লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি৷
এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভারত এবং শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনকে৷ তারা আমাকে সাঁতারের অনুমতি পেতে খুব সাহায্য করেছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত৷’ নিজের সাঁতারের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘শেষের পাঁচ ঘণ্টা খুবই কঠিন ছিল৷ সেসময় জলে খুব চোরা স্রোত ছিল, যা আমাকে বারবার পিছনে ঠেলে দিচ্ছিল৷ আমাকে অনেক বেশি চেষ্টা করতে হয়েছে লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য এবং এতে সাঁতার শেষ করতে আমার তিন ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে৷’ দিনে আট ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নেন শ্যামলা, দু’বছর ধরে লাগাতার প্রশিক্ষণের ফল এই সাফল্য৷ যদিও কোভিডের কারণে গত বছর সব পুল বন্ধ থাকায় প্রশিক্ষণ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাঁর৷ কিন্তু পুলগুলো খুলতেই আবার প্রশিক্ষণে নেমে পড়েছিলেন শ্যামলা৷