কেন্দ্র বসিরহাট: দীর্ঘ দিন ধরে বামেদের অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটিছিল বসিরহাট। ১৯৫২, ১৯৫৭, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪— ১০ বার বসিরহাট থেকে জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থীরা। দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সিপিআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যিনি, সেই ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ১৯৮০ এবং ১৯৮৪ সালে বসিরহাট থেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় গিয়েছিলেন। ১৯৮৯ এবং ১৯৯১ সালে সিপিআই-এর মনোরঞ্জন শূর জয়ী হয়েছিলন বসিরহাট থেকে।
আর তার পরের চার বার বসিরহাট জিতিয়েছিল সিপিআই-এরই অজয় চক্রবর্তীকে। ২০০৯ সালে এই আসন বামেদের হাতছাড়া হয়। জয়ী হন তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম। কিন্তু ২০১৪ সালে নুরুলকে আর বসিরহাটে টিকিট দেয়নি তৃণমূল, টিকিট দেয় ইদ্রিস আলিকে। ইদ্রিসই জয়ী হন বসিরহাট থেকে। উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণতম প্রান্তে অবস্থিত বসিরহাট লোকসভার একটি অংশ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী। একটি অংশ সুন্দরবন অঞ্চলের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু প্রধান। কৃষিজীবী এবং মৎস্যজীবীর সংখ্যা এই অঞ্চলে প্রচুর। তবে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চোরাচালানের রমরমা সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। সে অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আবর্তনও রয়েছে। ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছিল। বসিরহাটের রাজনীতিতে ওই স্পর্শকাতর ঘটনাও অন্যতম নির্ণায়ক বিষয় হয়ে উঠেছে। এবার এই কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান৷