নয়াদিল্লি: সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও সামিটে আফগানিস্তান ইস্যুতে পাকিস্তান এবং চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্ট বললেন যে, কট্টরপন্থা শান্তির পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ। সকল দেশের উচিত সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা এবং অন্য দেশকে সম্মান করা। এছাড়া তিনি আরও জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা মৌলবাদের হাত থেকে আফগানিস্তানকে রক্ষা করা তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাজিকিস্তানে এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, তবে ভার্চুয়ালি ওই সামিটে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- মোদীর বিরুদ্ধে ‘মমতাই বিকল্প মুখ’! ‘অপ্রস্তুত’ রাহুলে ঘোর আপত্তি তৃণমূলের?
এদিন মোদী বলেন, আফগানিস্তানের শান্তি ফিরিয়ে আনা এখন সবথেকে বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং এর দায়িত্ব বাকি সকল দেশকেই নিতে হবে। কারণ, বিশ্বে শান্তি বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এই প্রেক্ষিতেই এসসিও সামিটে যোগ দেওয়া সকল দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন যে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সহযোগিতা এবং স্বচ্ছতাকে সঙ্গে নিয়েই সকলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এই সামিটে ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তাই তাঁদের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য কারণ আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর প্রথম এই দুই দেশই তাদের সমর্থন জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত পার্টি কর্মীদের সাহায্যে রাস্তায় নামলেন বিমান, সূর্য, সেলিম!
প্রসঙ্গত, এই সামিটেই আবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানকে কখনই বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তাই ইসলামাবাদ সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে আফগানিস্তানের দিকে। এতেই পরিষ্কার যে তিনি ওই দেশের তালিবান সরকারকে পূর্ণ সমর্থনই করছেন। যদিও তাঁর বক্তব্য, তালিবানকেও তাদের সবরকম প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে চলছে ব্যাপক অর্থ সঙ্কট। আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধ হয়ে গেছে আফগানিস্তানের জন্য।