কলকাতা: ঠিক চার বছর আগের কথা৷ সেই দিনেই প্রথম লেখা হয়েছিল বঙ্গে বিজেপির সাফল্যের প্রেক্ষাপট৷ সাজানো হয়েছিল টার্গেট৷ করা হয়েছিল জয়ের ছক৷ সালটা ছিল ২০১৫৷ খাস কলকাতার বুকে শরৎ সদনে সেদিন পোঁতা হয়েছিল বিজেপির সাফল্যের বীজ৷
বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে দাঁড়িয়ে ২০১৯-র টার্গেট বেধে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ ১৯-র জয় নিশ্চিত করতে শরৎ সদনে পূর্বাঞ্চলের ছয় রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকল করেন বিজেপি সভাপতি৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওই বৈঠকে হাজির হন সিকিম, অসম, ওড়িশা, আন্দামান-নিকোবর ও ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিরা৷
ওই বৈঠক থেকেই অমিত শাহ দলের রণকৌশল ছকে দেন৷ বিজেপি সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, কেন্দ্রে ফের মোদি সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হলে পূর্বাঞ্চলকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে হবে৷ তারপর থেকেই বাংলার উপর বাড়তি নজর দেওয়া শুরু করেন মোদি-শাহরা৷ ওই বছরের মাঝামাঝি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়। তারপরই অক্টোবর মাসে রাহুল সিনহাকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে বসান অমিত শাহ। ওই বছর থেকেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমল চট্টোপাধ্যায়ের ডানা ছাঁটা শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ৷
সংগঠনের রাশ তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন সহ-সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। যাঁর হাতে পরবর্তী সময়ে সংগঠনের সর্বময় ক্ষমতা তুলে দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রামলাল৷ সেই থেকে যাত্রা শুরু৷ কৈলাস-দিলীপ-সুব্রতরা নিজেদের মতো করে ‘টিম’ তৈরি করতে শুরু করেন। দিলীপ ঘোষ কলকাতার পার্টি অফিসে চা-বাদাম খেয়ে সময় নষ্ট না করে জেলা চষা শুরু করেন।