লখনউ: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খিরিতে ৪ কৃষকের ‘হত্যা’র প্রতিবাদে সোচ্চার কংগ্রেস৷ লখিমপুর যাওয়ার পথে আটক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ রবিবার রাতেই লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি৷ নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা৷ সোমবার ভোরে লখিমপুর খিরিতে ঢোকার আগেই তাঁকে আটক করা হয়৷
আরও পড়ুন- জ্বলছে লখিমপুর, ফুঁসছে কৃষকরা, যোগীরাজ্যে যাচ্ছেন পাঁচ তৃণমূল সাংসদ
এদিকে, গৃহবন্দি করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসেছে পুলিশি পাহারা৷ জানা গিয়ে গতকাল সারা রাত যোগীর পুলিশকে ঘুরিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা৷ অবশেষে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ হরগাঁওয়ে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। যোগী পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাও হয় তাঁর৷
কংগ্রেসের দাবি, পুলিশের সঙ্গে বচসার পরেই হরগাঁও থেকে আটক করা হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এদিন পুলিশ প্রিয়াঙ্কার গাড়ি আটকানোর পর পায়ে হেঁটেই লখিমপুরের দিকে রওনা দেন কংগ্রেস নেত্রী৷ দফায় দফায় লখিমপুর যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে৷ আটকানো হয় তাঁর কনভয়। অন্যদিকে, পুলিশ জানাচ্ছে হরগাঁও নয়, লখনউ থেকে আটক করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ বচসার পরেই আটক হন তিনি৷ তাঁকে সীতাপুরে একটি গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
এদিকে গৃহবন্দি হওয়ার পরেই প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও অপরাধমূলক কাজ করছি না। আমি শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দুঃখ ভাগ করে নিতে চাই। আমি কি অপরাধ করেছি? যদি কিছু অপরাধ করে থাকি, তাহলে আপনার কাছে (ইউপি পুলিশ) গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা উচিত। কোন কারণে আমাকে আটকালো ইউপি পুলিশ?”
এদিকে ধীরে ধীরে লখিমপুর সীমান্তে আসতে শুরু করেছেন সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা৷ রবিবার লখিমপুর খেরির জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে তিকোনিয়াতে চার কৃষক-সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।