২১৭ রানে অলআউট ভারত! চতুর্থ দিনে ম্যাচে ফেরার লড়াই কোহলিদের

২১৭ রানে অলআউট ভারত! চতুর্থ দিনে ম্যাচে ফেরার লড়াই কোহলিদের

f61149bcdf01c3d1e637700bbdb7923b

সাউদাম্পটন: বারবার বৃষ্টিতে ব্যাহত হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চতুর্থ দিন ভারতের জন্য ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সুযোগ। প্রথম দিনের খেলা পুরোপুরি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। দেরি করে শুরু করতে হয় দ্বিতীয় দিনের খেলাও। কিন্তু প্রথম ইনিংসে এখনও পর্যন্ত খুব একটা ভালো জায়গায় নেই কোহলির দল।

প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৭ রানে সাজঘরে ফিরে যায় গোটা ভারতীয় দল। সেরা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও দলের একজনও ৫০ রানের গণ্ডি পার করতেই পারেননি। ১১৭ বল খেলে ৪৯ রানে গিয়ে আটকে গিয়েছেন অজিঙ্কে রাহানে। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ১৩২ বলে ৪৪ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। ৬৮ বলে ৩৪ রান করেন রোহিত শর্মা। শুরুটা ভালো করলেও এরা কেউই সেই রানকে বড় রানে পরিবর্তন করতে পারেননি। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে দাঁড়াতেই দেননি নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন।

তবে কিউয়িরা কিন্তু প্রথম ইনিংসের শুরুটা বেশ ধৈর্য্য নিয়ে শুরু করেছে। দুই বাঁ হাতি কিউয়ি ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে সতর্কতার সঙ্গে কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের প্রথম স্পেল সামলে দিয়েছে। ১০৪ বলে ৩০ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সাজঘরে ফেরেন ল্যাথাম। কিন্তু নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন কনওয়ে। ১৫৩ বলে ৫৪ রান করার পর কনওয়েকে আউট করেন ইশান্ত শর্মা। বাইশ গজে এখন খেলছেন কিউয়ি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেলর। তৃতীয়দিনের খেলার শেষে নিউজিল্যান্ড ২ উইকেট খুইয়ে ১০১ রান করেছে। এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে কিউয়িরা।

খেলার রাশ আপাতত অনেকটাই নিউজিল্যান্ডের হাতে। চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে উইলিয়ামসন ও রস টেলরের উইকেট খুব তাড়াতাড়ি তুলে নিতে হবে বুমরাহ-অশ্বিনদের। না হলে ম্যাচ ক্রমশ বিরাট কোহলির হাতের বাইরে চলে যাবে। তবে বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে ম্যাচে। একটা গোটা দিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও মাঝেমধ্যেই হয় বৃষ্টিতে না হয় মেঘলা আকাশের জন্য কম আলোর কারণে বন্ধ হয়েছে ম্যাচ। তাই এই ম্যাচে জয়ের জন্য যেতে হলে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড দলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাজঘরে ফেরাতে হবে ভারতকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *