লখনউ: লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ৷ গতকাল ১৪৪ লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা৷ এর পর রাহুলের সফরেও অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানায় যোগী সরকার৷ কিন্তু রাহুলও নাছোড়৷ অবশেষে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়ারে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সহ মোট পাঁচ কংগ্রেস নেতাকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের খবর, রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে লিখমপুরে যাচ্ছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নী৷
আরও পড়ুন- বাঙালি সায়নের সাফল্যে মুগ্ধ রতন টাটা, চিঠি লিখে প্রকাশ করলেন দেখা করার ইচ্ছা
সোমবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে চিঠি পাঠিয়ে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল কংগ্রেস৷ ওই চিঠিতে জানানো হয়, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল লখিমপুর যেতে চায়। যদিও সেই সময় তাঁদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি কেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নও তুলেছিল কংগ্রেস৷ সেই সময় যোগী প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল আইন-শৃঙ্খলার দিকটি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে অনুমতি না মিললেও বাঘেল ও চন্নীকে নিয়ে লখনউয়ের বিমান ধরেন রাহুল৷ ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তিনজন লখিমপুরে যাবেন বলেও ঠিক হয়৷ তবে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানান, নিহত কৃষকদের অন্ত্যেষ্টির পরেই লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে৷ সেই মতই কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে অনুমতি দেওয়া হল৷
এদিকে অনুমতি পাওয়ার আগে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল লখিম যাওয়ার অনুমতি পেল৷ তাহলে কংগ্রেস পাবে না কেন? পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘গতকাল তো লখনউতেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ লখিমপুরে যেতে পারলেন না উনি। দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে।’’ তিনি আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে কোনও রাজনৈতিক নেতাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে ভয়ঙ্কর লুঠ চলছে। দেশের কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে।’