কলকাতা: ভোটের হার বাড়লেও কমেছে আসন৷ আর তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে অভিমান করে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শুক্রবার কালীকাঠে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষের কাজ অনেক করেছি৷ এবার দলটা বেশি করে দেখব৷ হয়তো একটু বেশিই কাজ করে ফেলেছি৷ মনে রাখবেন, আমার চেয়ার প্রয়োজন হয় না৷ চেয়ারকে আমার প্রয়োজন হয়৷’’ বলেন, ‘‘কেউ বলতেই পারেন, আমি মুসলিমদের তোষণ করছি৷ কিন্তু, মুসলিমরাও আমাকে ভোট দিয়েছে৷ ওদের ইফতারে যাব৷ ১০০ বার যাব৷’’
ফলফল দেখে মুখমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীব হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে নেই৷ কিন্তু, দল এটা মানতে চায়নি, তাই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ ছ’মাস ধরে ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলাম৷ এটা মানতে পারছি না৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে আর থাকতে চাই না৷ বৈঠকে বেলেছিলাম৷ আমি এই চেয়ার নিয়ে সন্তুষ্ঠ নই৷ কিন্তু, দল এটা মানতে চায়নি৷ তাই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ আমার কাছে চেয়ার বড় নয়৷ অপ্রিয় সত্য কথা বলতে আমি ভয় পাই না৷ যাঁরা ভোট দেয়নি, নিশ্চয়ই অপছন্ন করেন, এটা বিবেকে লেগেছে৷’’
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেতে ইভিএম কেলেঙ্কারি ও টাকা বিলিয়ে ভোটে জেতার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ‘‘আজ টাকার বিনিময়ে ভোট করা হয়েছে৷ ভোট পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ কোনও কোনও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেটা দেখা হবে৷ ভোটের আগে অফিসার বদল করে বাংলায় কোটি কোটি টাকা ঢোকানো হয়েছে৷ এবার ভোটে যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে বিজেপি, সেটা যে কোনও কেলেঙ্কারির থেকে বড়৷’’
ইভিএম কেলেঙ্কারি নিয়েও বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস সেটিং হয়ে গিয়েছে৷ এর সঙ্গে বিদেশেরও হাত রয়েছে৷ তা না হলে বিজেপি কত গুলি আসনে এক লক্ষের উপর ভোটে জিতত৷ আমি আর কিছু বলব না৷ পরে দেখবেন সব বেরিয়ে গিয়েছে৷ ইভিএম আগে থেকে প্রোগ্রামিং করা ছিল৷’’