নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগে পর্যন্ত ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে। শোনা গিয়েছিল যে তিনি নাকি কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন কারণ সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে অনেক কিছু বদলে গেলেও প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দেননি। উল্টে এখন তিনি ‘হাত’ শিবিরের ব্যাপক সমালোচনা করলেন। এদিকে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনা নিয়েও কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের কথায়, রাতারাতি উত্তরপ্রদেশ সফর করলে কংগ্রেসের ভাবমূর্তির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না এবং সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বললেন, কংগ্রেসের সমস্যার সংক্ষিপ্ত কোনো সমাধান নেই। লখিমপুরের ঘটনায় যেভাবে কংগ্রেস তৎপরতা দেখিয়েছিল তাতে অনেকেই মনে করছিল যে এবার হয়তো এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তিশালী ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে কংগ্রেস। কিন্তু ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন, এইভাবে কংগ্রেসের সমস্যার সমাধান আসবে না এবং রাতারাতি কিছুই বদলে যাবে না। তিনি কার্যত খোঁচা দিয়ে টুইট করে লিখেছেন, যারা মনে করছে যে কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে দ্রুত এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুনরুজ্জীবিত হবে তারা ভুল করছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো দলের গভীর সমস্যা এবং দুর্বলতার রাতারাতি সমাধান নেই।
প্রসঙ্গত, বিগত কিছুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মুখপত্রে একের পর এক কংগ্রেস বিরোধী বক্তব্য বলে চলেছে। অনেকেই মনে করছে যে এটি আগামী লোকসভার আগে বিরোধী জোটের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না। কিন্তু এবার দেখা গেল, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে তো যোগ দিলেনই না, উল্টে তিনিও ঘাসফুল শিবিরের সুরেই কার্যত সুর মিলিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিচ্ছেন। সম্প্রতি উপনির্বাচনের প্রচারেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। তাই আগামী দিনে দেশের বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা এখন থেকেই বলা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে।