নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা থেকে শুরু করে লাদাখ সীমান্তের রেশ। হালে অরুণাচল প্রদেশেও চিনা বাহিনীর হম্বিতম্বি। সব মিলিয়ে ভারত যে প্রতিরক্ষা খাতে আরও নজর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে সর্বক্ষণ হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে যে তারা যে কোনও রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত। তবে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। তাই দশেরার দিনেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ পাচ্ছে সাতটি নয়া সংস্থা।
দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আরও উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও সেই জন্যেই দেশের ৪১টি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিকে ৭টি সরকার পরিচালিত কর্পোরেট সংস্থায় রূপান্তরিত করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তিতে পরিণত করা। দশেরার দিনেই এই বড় পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে সাতটি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থার সংযোজন করা হচ্ছে সেগুলি হল মিউনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেড, ট্রুপ কমফোর্ট লিমিটেড, আর্মন্ড ভেইকেলস নিগম ইন্ডিয়া লিমিটেড, অ্যাডভান্স ওয়েপেন্স অ্যান্ড ইকিউপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, যন্ত্র ইন্ডিয়া লিমিটেড, গ্লাইডার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ইন্ডিয়া অফটেল লিমিটেড।
এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তিনি জানান, ভারতকে প্রতিরক্ষায় আরও মজবুত করতে এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রধান উৎপাদক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন কোম্পানিগুলোকে ইতিমধ্যেই ৬৫,০০০ কোটি টাকার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তারা অস্ত্র থেকে শুরু করে গাড়ি এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করবে। আগেই প্রধানমন্ত্রী ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের ডাক দিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও নেওয়া হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটিও ভারতের আত্মনির্ভরতার কথা বলছে।