‘পজিটিভ থাকুন, ভালো কিছু আশা করুন’, সমর্থকদের বললেন ইস্টবেঙ্গল সিইও!

‘পজিটিভ থাকুন, ভালো কিছু আশা করুন’, সমর্থকদের বললেন ইস্টবেঙ্গল সিইও!

1a1c48ca3f88e58227b9302c50865d05

 

জুলাই মাসের নয়টি দিন শেষ। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উৎকন্ঠার প্রহর বোধহয় শেষ হল না। শোনা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীর তরফে আইনজীবীরা নতুন করে চুক্তিপত্র তৈরি করছেন। তারপর তাঁরা সেই চুক্তিপত্র পাঠাবেন শ্রী সিমেন্টের কলকাতা দফতরে। শ্রী সিমেন্টের কর্তারা সেই চুক্তিপত্র এফ এস ডি এল এবং ইস্টবেঙ্গলে পাঠিয়ে দেবে। আই এস এল কর্তৃপক্ষও সেই প্রস্তাবিত চুক্তিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখবে। আই এস এলের তরফে অনুমোদিত চুক্তিপত্রেই সই করবে ইস্টবেঙ্গল। কতটা এগিয়েছে সেই কাজ? আজ বিকেলের তরফে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবময় ঘোষ প্রশ্ন করেছিলেন এস সি ইস্টবেঙ্গলের সি ই ও কর্নেল শিবাজী সমাদ্দারকে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছেন তিনি। নীচে রইল সম্পূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।

 

প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য কোনও সুখবর আছে?

এস সি ইস্টবেঙ্গল সি ই ও: এই মুহূর্তে কোনও আপডেট আমার কাছে নেই।

প্রশ্ন:  শুনেছিলাম চুক্তিপত্র এফএসডিএল – এর কাছে পৌঁছবে। তারা খতিয়ে দেখবে। চুক্তি কি পৌঁছে গিয়েছে?

এস সি ইস্টবেঙ্গল সি ই ও: সে ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না। কারণ চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখছে বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট।

প্রশ্ন: সমর্থকরা উৎকণ্ঠায় রয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ভাল ফুটবলার নিচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন কি সম্পূর্ণ বন্ধ?

এস সি ইস্টবেঙ্গল সি ই ও: হ্যা বন্ধ। আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

প্রশ্ন: সেক্ষেত্রে সমস্যা মিটে গেলেও দল গঠনে ভাল ফুটবলার তুলে নেওয়ার কী আর কোনও সুযোগ আর থাকবে? আপনারা নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে কিছু ভেবেছেন?

এস সি ইস্টবেঙ্গল সি ই ও: এক্ষেত্রে কিছু করার নেই। আমাদের যিনি বিনিয়োগকারী মিস্টার হরিমোহন বাঙ্গুরের স্পষ্ট অবস্থান চুক্তিতে সই না হলে আর কোনও বিনিয়োগ হবে না।

প্রশ্ন: ট্রান্সফার ব্যান কি সম্পূর্ণ উঠে গিয়েছে? খেলোয়াড়দের কী বেতন এখনও কিছু বকেয়া রয়েছে?

এস সি ইস্টবেঙ্গল সি ই ও: খেলোয়াড়দের কিছু বেতন এখনও বাকি আছে। ফিফা ট্রান্সফার ব্যান এখনও উঠে গিয়েছে। এআইএফএফ – এর ক্ষেত্রে এখনও কিছু খেলোয়াড়ের বেতন বকেয়া আছে। তা খুব শিঘ্রই মিটিয়ে দিতে হবে।

প্রশ্ন: সমর্থকদের কী বার্তা দিতে চাইবেন?

পজিটিভ থাকুন। ভাল কিছু আশা করুন। আমি নিজেও একজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হিসাবে ভাল কিছু আশা করে আছি। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।

ক্লাব এবং বিনিয়োগকারীর দ্বন্দ্ব ফুটবলে নতুন নয়। তবে, উদ্বেগের বিষয় এই যে, এই দ্বন্দ্বে সাধারণ সমর্থকের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল এবং তার বিনিয়োগকারীর চুক্তি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব শেষ সীমায় পৌঁছেচে। খবর, রাজ্য সরকার মনোনীত মধ্যস্ততাকারীরা দু-পক্ষকেই আলোচনার টেবিলে এনেছেন। আই এস এল – আয়োজনকারী সংস্থা এবারে এফএসডিএল মাঝে রয়েছে। সেক্ষেত্রে, পরবর্তীকালে কেউ কারও বিরুদ্ধে দোষারোপের খেলায় মেতে উঠতে পারবে না। এই সবই ঠিক আছে। কিন্তু আর কতদিন? জুলাই মাসের দিনগুলিও এক-এক করে শেষ হওয়ার পথে। ক্লাব এবং বিনিয়োগকারীরা কি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে সমর্থকদের সঠিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে পারে না? এটিকে মোহনবাগান নিরন্তর ভাল ফুটবলার সই করে চলেছে। সেদিনের ওড়িশা এফ সি – ও পিছিয়ে নেই। লাল-হলুদ সমর্থকদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে চলতে হবে। যাই হোক, সব ভাল যার শেষ ভাল। তাই যেন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *