পানাজি: বিজেপির শাসন এবং নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে সম্প্রতি ব্যাপক কৌতূহল বাড়িয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি স্পষ্টভাবেই দাবি করেছেন যে, আগামী কয়েক দশক বিজেপি দেশে থাকছেই! পাশাপাশি কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে ‘হাত’ শিবিরে। কারণ প্রশান্ত কিশোরকে দলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল খোদ কংগ্রেসই। এদিকে আবার তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও চিন্তার শেষ নেই কারণ তিনিও ক্রমাগত কংগ্রেসের খামতির কথা বলছেন। এই আবহে এবার প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আপাতত গোয়ায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর তাঁকে এই ইস্যুতে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট বলেন, প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে! তিনি আদতে বলতে চেয়েছেন যে, কংগ্রেসের মত একা একা লড়ে কিছু করা যাবে না, জোটবদ্ধ হতে হবে। একসঙ্গে লড়লেই বিজেপিকে হারানো যাবে, তাই কোনও ভাবে যাতে ভোট ভাগাভাগি না হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে। তবে ভোট ভাগ না হওয়ার কথা বলে নিজেই মমতা কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে মন্তব্য করেছেন, কংগ্রেসের জন্যেই শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে মোদীর৷ বিজেপি’কে আটকাতে ব্যর্থ কংগ্রেস৷ কোনও দল সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তার ফল কেন গোটা দেশ ভোগ করবে? মমতা বলেন, ওরা অনেক সুযোগ পেয়েছে৷ ওরা বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই না করে আমার রাজ্যে আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোর গতকাল বলেছিলেন, আগামী কয়েক দশক ভারতে বিজেপির ভিত মজবুত এবং তাদের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি স্পষ্ট বলছেন, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে বিজেপি ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। ঠিক যেমন কংগ্রেসের প্রথম ৪০ বছর ছিল। তাই স্পষ্ট ভাবে ধরে নিতে হবে যে এখনই বিজেপি কোথাও সরে যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতেই কথা বলতে গিয়ে তিনি কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে বলেন, রাহুল যদি মনে করে থাকেন যে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে এত সহজে সরিয়ে দেওয়া যাবে তাহলে তিনি ভুল করছেন।