ভোপাল: ফের অযাচিত মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় তুললেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর৷ এবার ভোরের আজানের প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন তিনি৷ বললেন, সকালের আজান ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়৷ রোগীদের রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে৷ প্রসঙ্গত সরাসরি আজান শব্দটি ব্যবহার করেননি প্রজ্ঞা৷ বরং ঘুরিয়ে বললেন শব্দ৷
আরও পড়ুন- জোড় করে মহিলাকে চুমু, গায়ে হাত, মজা করার প্রস্তাব অফিসারের, ভাইরাল ভিডিয়ো
মঙ্গলবার ভোপালের বেরাসিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা৷ ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ খুব জোরে শব্দ হয়। সেই আওয়াজ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ফলে মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। এর ফলে অনেক রোগীরও সমস্যা হয়। তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।’’ এখানেই শেষ নয়৷ সেই সঙ্গে প্রজ্ঞা আরও বলেন, ‘‘ঋষি ও সাধুরাও ভোর চারটের ব্রহ্ম মুহূর্তে ধ্যান করেন। আমাদের প্রথম আরতিও হয় ভোর চারটের সময়। কিন্তু ওঁদের প্রার্থনার আওয়াজ আমাদের বরাবরই শুনতে হয়। তাতে কারও কিছু এসে যায় না। কিন্তু আমরা মাইক ব্যবহার করে প্রার্থনা করলেই বিধর্মীদের সমস্যা হয়। ওঁরা নাকি অন্য ধর্মের প্রার্থনা শুনতে পারেন না। এটা নাকি ইসলাম বিরোধী৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘হিন্দুরা অন্যদের ধর্মবিশ্বাসের দিকেও নজর রাখে৷ কারণ আমরা সর্বধর্মে বিশ্বাসী৷’’
প্রজ্ঞার এই মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক৷ বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ বলেন, ‘‘ নির্দিষ্ট ধর্মকে অপমান করেছেন প্রজ্ঞা৷ ক্ষমা চাওয়া উচিত ওঁর৷ ’’ তাঁর মতে, ‘আসলে এই ধরনের মন্তব্য করে ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুদের মৃত্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি বলে ভারত গণতান্ত্রিক দেশ৷ প্রজ্ঞা এহেন কিছু বললে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত৷’’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মার্চ মাসে দিল্লি থেকে তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয়৷ মূলত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বিজেপি নেত্রী৷