কলকাতা: গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যু, আর তার জেরেই রোগী পরিবারের সঙ্গে জুনিয়ার চিকিৎসকদের হাতাহাতি৷ মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে NRS হাসপাতালে তালি ঝুলিয়ে চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ৷ আউটডোর ও জরুরি পরিষেবা বন্ধ রেখে জুনিয়ার চিকিৎসকদের বিক্ষোভ৷ ডাক্তারি পড়ুয়াদের মারধরের প্রতিবাদে এবার বাংলাজুড়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতে কর্মবিরতির ডাক৷ চিকিৎসকদের বিদ্রোহের জেরে লাটে চিকিৎসা পরিষেবা৷
সোমবার রাতে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে এনআরএস হাসপাতালের দু’টি গেল ভেতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ অসুস্থ শরীর নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে আসা হাজার হাজার রোগী পরিবার এখন হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন৷
পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও কিছুতেই পরিষেবা চালু করতে নারাজ জুনিয়ার চিকিৎসকদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, মার খাওয়া জনুয়ার চিকিৎসকরা যতক্ষণ সুস্থ না হচ্ছে, ততক্ষণ চলবে তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এভাবে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে কীভাবে গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে বসলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা? মানুষের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যাঁদের কাজ, তারাই কিনা মানুষের চিকিৎসা পাওয়া অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে৷ চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা যেমন গুরুতর, ঠিক তেমন জরুরি সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখা৷ এনআরএস জনুয়ার ডাক্তাদের এই বিক্ষোভ রাজ্যজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
অন্যদিকে, নিরাপত্তার দাবিতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এমএসভিপিকে ঘেরাও করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ দেখান বিক্ষোভ৷ কর্মবিরতিরও ডাকা হয় সেখানেও৷
রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার হাসপাতাল৷ রোগীমৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাতাহাতি জড়িয়ে পরেন ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার৷ পরে তা চরম আকার নেয়৷ ঘটনায় জখম হয়েছেন ৭ জন চিকিৎসক৷ গুরুতর জখম হন একজন জুনিয়র ডাক্তার৷ মাথা ফেটে তাঁর৷ এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাসপাতালের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা৷