নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদের মন্তব্য ঘিরে এখনও বিতর্ক বহাল। তিনি আইএসআইএস এবং বোকো হারামের মত জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির হিন্দুত্বের তুলনা করেছিলেন। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার বিজেপির হিন্দুত্বকে নিজের ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনিও কার্যত বুঝিয়ে দিলেন যে হিন্দু ধর্ম আর বিজেপির হিন্দুত্বের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে এই ইস্যুতে তিনি এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী বাহিনীকে।
রাহুলের প্রশ্ন, হিন্দু ধর্মে শিখ বা মুসলমানদের পেটানোর কথা বলা হয়েছে? বলা হয়নি, কিন্তু রাজনৈতিক হিন্দুত্বের বলা হয়েছে! তিনি বলছেন, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত একাধিক বই তিনি পড়েছেন কিন্তু কোথাও লেখা নেই নিরীহ মানুষকে খুন করতে হবে। তবে বিজেপি এবং আরএসএসের হিন্দুত্ব এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলেই দাবি করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের সেবা গ্রাম আশ্রম এ কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের বাছাই করা নেতাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় রাহুলের বক্তব্য, হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দুত্ব এক কিনা তা জানতে হবে। এই দুটি আদৌ এক হতে পারে কিনা সেটাও জানতে হবে। আর যদি এই দুটি এক হয় তাহলে দুটির নাম আলাদা কেন। শুধুমাত্র তাহলে হিন্দু ধর্ম নাম কেন ব্যবহার করা হয়, কারণ হিন্দুত্বের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।
আসলে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সুপ্রিম রায় নিয়ে একটি বই প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ দাবি করেছেন, বিগত কয়েক বছরে সনাতনী হিন্দুত্ব আইএসআইএস এবং বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মতো রাজনৈতিক সংস্করণে পরিণত হয়েছে। ঋষি এবং সাধুদের কাছে পরিচিত সনাতন ধর্ম এবং ধ্রুপদী হিন্দু ধর্মকে হিন্দুত্বের একটি শক্তিশালী সংস্করণ দ্বারা একপাশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি শিবির। গেরুয়া নেতা অমিত মালব্য এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেছেন, মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের নেতা। তিনি এবং তাঁর দল গেরুয়া সন্ত্রাস শব্দ তৈরি করেছে তাই এই ব্যাপারে আলাদা করে কিছু বলা যায় না।