মেট্রো ডেয়ারিতে আর্থিক কেলেঙ্কারি? তথ্য তলব ইডির

কলকাতা: এবার মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় মাথা গলাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি৷ ইতিমধ্যেই মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ গত ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গ কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ফেডারেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷ বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯৯ -ফেমা মিল্ক ফেডারেশনের হাতে

মেট্রো ডেয়ারিতে আর্থিক কেলেঙ্কারি? তথ্য তলব ইডির

কলকাতা: এবার মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় মাথা গলাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি৷ ইতিমধ্যেই মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ গত ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গ কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ফেডারেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷

বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯৯ -ফেমা মিল্ক ফেডারেশনের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি নিয়ে অভিযোগ ইডির কাছে পৌঁয়ছে বলে খবর৷ সূত্রের খবর, মেট্রো ডেয়ারির বিলগ্নিকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় সরকারি তথ্য ৭ দিনের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নবান্ন সূত্রের দাবি, প্রশাসনের শীর্ষ মহলের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাওয়া নথিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

অধীর চৌধুরী বলেন, এটা একটা বড়সড় দুর্নীতি৷ কারণ, সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে৷ এই দুর্নীতিতে রাজ্যের একাধিক আমলা জড়িত বলেও দাবি প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির৷ মেট্রো ডেয়ারির বিলগ্নিকরণে বিরাট অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও রয়েছে৷

সূত্রের খবর, পুরনো শেয়ার কাঠামো অনুসারে মেট্রো ডেয়ারির ৪৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল রাজ্য সরকারের। ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের বা এনডিডিবি শেয়ার ছিল ১০ শতাংশ৷ বাকি ৪৩ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ছিল একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে৷  এনডিডিবির গোটা শেয়ার কিনে নেয় সংশ্লিষ্ট ওই বেসরকারি সংস্থা৷ ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের হাতে থাকা ৪৭ শতাংশ শেয়ারও মাত্র ৮৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকায় কিনে নেয় সংস্থাটি৷ সম্প্রতি ওই ৪৭ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ শেয়ার ১৭০ কোটি টাকায় সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দেয়৷ সেই হারে সঠিক পদ্ধতিতে এই বিলগ্নিকরণ করলে ৪৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে সরকারের ঘরে ৫৩৩ কোটি টাকা আসত৷ যা মাত্র ৮৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *