নয়াদিল্লি: ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্ক বাড়িয়ে রেখেছে দেশ তথা বিশ্বে। প্রতি নিয়ত নতুন করে সংক্রমণ বা মৃত্যুর খবর আসছে সামনে। কিন্তু এত দিনে আদতে কতজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সরকারি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তা সঠিক নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাস সংক্রমণে। বিশেষজ্ঞদের এই দাবিকে কেন্দ্র করে এখন চাপানউতোর শুরু। একই সঙ্গে বেড়েছে উদ্বেগ।
এই মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারি পরিসংখ্যান বলছে যে গোটা দেশে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫৫ জনের। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে! টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের ডিরেক্টর ডাক্তার প্রভাত ঝাঁ দাবি করেছেন, ভারতের সরকারি রিপোর্ট যে দাবী করছে তার সঙ্গে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ৫০ লক্ষ না হলেও এখনো পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষের। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত একাধিক রাজ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রিপোর্ট লুকিয়ে গিয়েছে। তাই আদতে কতজন রোগী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তার তথ্য ১০০ শতাংশ সামনে আসেনি। সেই প্রেক্ষিতে খুব সহজেই বলা যায় যে মৃত্যুর সংখ্যা যা বলা হচ্ছে তার তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে।
চলতি বছরেই দেশে মারাত্মক পরিমাণে অক্সিজেন সংকট দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ে একাধিক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে মারা গিয়েছিলেন। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান দাবি করেছিল যে অক্সিজেনের অভাবে দেশে কারোর মৃত্যু হয়নি। সেই নিয়ে অবশ্য এখন বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু সংক্রমণের কারণে বিহার থেকে শুরু করে দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যে যে মৃত্যু অনেকটাই বেড়ে ছিল তা সকলের জানা। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল অনেক।