লিডস: ফের পুরনো রোগ ফিরে এসেছে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির। সেই চতুর্থ ও পঞ্চম স্টাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ অভ্যাস করিয়ে সাজঘরে ফেরার বদভ্যাস আবার ঘিরে ধরেছে বিরাটকে। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সিরিজে তার এই রোগ প্রথম দেখা যায়। সেই সিরিজে পাঁচ টেস্ট মিলিয়ে মাত্র ১৩৪ রান করেছিলেন কোহলি। সেই সময় টানা ২৫ ইনিংসে শতরানের খরা ছিল তার ব্যাটে। তারপর অবশ্য সেই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন দেশে ফিরে সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শে। কিন্তু গত এক-দেড় বছর ধরে ফের সেই রোগ ফিরে এসেছে, চলতি ইংল্যান্ড সিরিজে সেই জেমস অ্যান্ডারসনের বাইরে বেরনো বলে ফের খোঁচা দিয়ে আউট হচ্ছেন কোহলি। আর এবারে টানা ৫০ ইনিংস ধরে শতরান পাচ্ছেন না বিরাট।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের পিঙ্ক বল টেস্টে শেষ শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। ১৯৪ বলে ১৩৬ রান করেছিলেন সেদিন তিনি। কিন্তু তারপরে প্রায় ৬৫০ দিন কেটে গিয়েছে। গত ৫০ ইনিংসে একটাও শতরান আসেনি ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। বুধবার হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছিল ভারত। এদিনও ৭ রানে সেই জেমস অ্যান্ডারসনের অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কোহলি। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়ে রেকর্ড গড়েছে ভারত।
বিরাট কোহলির এই পারফরম্যান্সের পর তাকে শিগগিরই কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শ নিতে বললেন আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। একাধিকবার ড্রাইভ করতে আউট হচ্ছিলেন বলে ২০০৩ সিডনিতে একটি অনবদ্য সুপরিকল্পিত ইনিংস খেলেন সচিন তেন্ডুলকর। যে ইনিংসে তিনি একটিও কভার ড্রাইভ না মেরে ২৪১ রান করেছিলেন। গাভাস্কার মনে করেন, সচিনের এই ইনিংস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বিরাটের। তিনি জানিয়েছেন, “ওর এক্ষুনি সচিনকে ফোন করে জানতে চাওয়া উচিত ও কী করবে। সিডনিতে সচিনের ওই ইনিংস বারবার দেখা উচিত এবং সেইভাবে ইনিংস সাজানো উচিত।”