কলকাতা: রাজনৈতিক হিংসায় উত্তাল বাংলা৷ থামছে না মৃত্যু মিছিল৷ বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তীব্র আকার নিয়েছে৷ শুরু হয়েছে চিঠিচাপাচির পালা৷ এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যে বেড়ে চলা অশান্তি রুখতে চারদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷
রাজভন সূত্রে খবর, আগামিকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷ বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্রকে চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকে ডাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর৷ কাল বিকেল ৪টে নাগাদ বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ তৃণমূল ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে বলেও জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে এর আগে মোদি-অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্যপাল ত্রিপাঠী৷ বৈঠকের পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল৷ রাজ্যের সামগ্রিত পরিস্থিতি জানিয়েছি৷ জুনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের কথা আগেই নির্ধারিত ছিল৷ সেই কারণে আজ, বৈঠক৷ আমি প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি৷ ব্যক্তিগত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে পারিনি৷ সেই কারণেই সৌজন্য সাক্ষাৎ৷’’
বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যের সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল ত্রিপাঠী জানান, এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি৷ সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ত্রিপাঠী জানান, ‘‘যা বলার আমি বলে এসেছি৷ বাংলায় যদি এই দাবি ওঠে তখন ভেবে দেখা হবে৷ তবে, রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কোনও কথা হয়নি৷’’
সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, কেন্দ্রের কর্তব্য হল রাজ্য সরকারগুলি সাংবিধানিক নিময় মেনে কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করা৷ আইনশৃঙ্খলার কারণে বিভিন্ন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে কেন্দ্র৷ মোদি-অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর তুঙ্গে ওঠে জল্পনা৷ এবার সেই জল্পনায় ঢালা হল জল৷