নয়াদিল্লি: আজ কার্যত অপ্রত্যাশিতভাবে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া দেশের কিষাণ মহলে। অন্যদিকে, খুশি হলেও বিরোধীরা কেন্দ্রকে একহাত নিতে ছাড়ছে না। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভয় পেয়েছে যে তারা ভোটে হেরে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সরকারের অন্য সূত্র বলছে, আজকের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। দেশ বিরোধী শক্তিকে হারাতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে দাবি, কৃষক আন্দোলনের আড়ালে ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছিল দেশ-বিরোধী শক্তি। এই আন্দোলনকে সামনে রেখে অনেকেই দেশ বিরোধী কার্যকলাপ করছিল, সন্ত্রাসের আবহ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই কারণেই এই আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও জানান হয়েছে, কৃষক আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টাও করা হচ্ছিল, তাই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র বলে জানান হচ্ছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন নিয়ে যে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন তা তিনি পূর্ণ সমর্থন করছেন এবং এটি একটি রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। এছাড়াও তাঁর এও দাবি, বক্তৃতাতেই প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় কৃষকদের পক্ষে এবং কৃষক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি প্রত্যেক ভারতীয়র কল্যাণের কথা ছাড়া কিছু ভাবেন না। তিনি এক যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন।
যদিও আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা হলেও অবস্থান এখনই উঠবে না! কেন, এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এই ঘোষণার সীলমোহর যতক্ষণ না করবে ততক্ষণ আন্দোলন জারি থাকবে। কৃষক নেতা জানিয়েছেন যে, যতদিন না পর্যন্ত সংসদে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাশ হচ্ছে ততদিন অবস্থান-বিক্ষোভ জারি থাকবে।