কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, রাজ্যপালের আর্জির পর আজও স্বাভাবিক হল না স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা৷ আজ সকাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হলেও বন্ধ আউটডোর৷ পরিষেবা বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালে রোগী ভোগান্তির বিহীত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা৷ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আইনবিরুদ্ধ বলেও মামলায় উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক কুণাল সাহা৷
ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতেও কার্যত আজ ধাক্কা খেতে হয় রাজ্যকে৷ আদালত সূত্রে খবর, রোগী ভোগান্তি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সমস্যা সমাধান রাজ্য সরকারকেই করতে হবে৷ পরিস্থিতি যে দিকে এগিয়ে গিয়েছে, তা রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার? তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কিন্তু, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলতে মামলা দায়ের হলেও তার ফয়সলা এখনও হয়নি৷
Calcutta High Court on PIL of Kunal Saha of People for Better Treatment who seeks that the doctors’ strike be declared illegal, sought details of what steps had been taken by West Bengal on attack on doctors & doctors’ strike, by next Friday. Next hearing to take place next week.
— ANI (@ANI) June 14, 2019
অন্যদিকে রাজ্যের উপর চাপ বাড়িয়ে এবার গণ-ইস্তফা বাংলার চিকিৎসকদের৷ জানা গিয়েছে, আজ আর জি কর হাসপাতালে নতুন করে ৮০ চিকিৎসক গণ-ইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন দিয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা পরিষেবা দেব না বলে জানিয়েছেন৷ বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা পড়েছে ইস্তফা৷
এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে ডাক্তারদের গণইস্তফার পর্ব আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এনআরএস হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যয় ও প্রিন্সিপাল শৈবাল মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যভবনে৷ পদত্যাগপত্রে তাঁরা জানিয়েছে, সরকারের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে তাঁরা ব্যর্থ৷ তাই এই সিদ্ধান্ত৷
শোনা যাচ্ছে, আজ এনআরএস হাসপাতাল থেকে আরও ১৬ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দিতে চলেছেন৷ তবে তা এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি৷ গণ ইস্তফার পথে হাঁটতে পারেন আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসাপাতালের চিকিৎসকরাও৷ সিউড়ি হাসপাতালে ৪৬ জন চিকিৎসক ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ সাগর দত্ত হাসপাতালেও ২০ জন ডাক্তারের গণইস্তফা দিয়েছেন৷ উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ সহ পাঁচ চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন৷ এই নিয়ে বাংলাজুড়ে ১৬৭ জন চিকিৎসক গণ-ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর৷