আগরতলা: ত্রিপুরায় প্রথম থেকেই হিংসার অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে কর্মীদের। এবার সায়নী ঘোষ গ্রেফতার হতে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি প্রশ্ন করেন, বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, মার খেয়েছে? গায়ে আঁচড় পড়েছে? এইভাবেই যেন পরোক্ষে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে রাখলেন অভিষেক।
এদিন অভিষেক বলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সবথেকে বেশি হিংসা হয়েছে ত্রিপুরাতে। তিনি মনে করিয়ে দেন, এটি তাঁর বার তৃণমূলের দেওয়া তথ্য নয়, এনসিআরবি রিপোর্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের রিপোর্ট। রাজ্যে ভোটের মিছিল করতে দেওয়া হয় না, সামান্য জনসভাও করতে দেওয়া হয় না, তাহলে ভোট কী করে হবে জানা নেই। তিনি আরও বলেন, এইভাবে বিজেপি রাজ্যকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিচ্ছে। অভিষেকের আরও সংযোজন, তৃণমূলের প্রত্যেক নেতা থেকে শুরু করে প্রার্থী সকলকে মারা হয়েছে। একাধিক কর্মী আহত। কারোর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, কারোর মাজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারণ বাংলা বিজেপিকে আসতে দেয়নি। বিজেপি এলে বাংলার কী হত তা এখনই বোঝা যাচ্ছে, বলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ দূরদর্শী, সারা ভারতকে পথ দেখিয়েছে। বাংলার মানুষকে বোকা বানানো কঠিন।
তিনি এদিন আরও বলেন, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রাজ্য চলছে সেই পরিস্থিতিতে দিনের আলোতেও রাস্তায় লোক বের হতে পারছে না। এমন নৈরাজ্য এবং এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে যে গোটা দেশ এই জিনিস এর আগে কখনো দেখেনি। অভিষেক বলছেন, যে রাজনৈতিক দল কথায় কথায় অন্য রাজনৈতিক দলের ভুল ধরতে আগ্রহ দেখায়, সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সহিংস দমন-পীড়নের ঘটনায় প্রতিদিন নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে দিচ্ছে।