আগরতলা: গ্রেফতারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন বিকেলে সায়নীকে পেশ করা হয় আগরতলা আদালতে। সেখানে পুলিশ দু’দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু তাঁদের দাবি মান্যতা পেল না। শুনানির পর সায়নীকে জামিন দেয় আদালত। আর জামিন পাওয়ার পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী। সায়নী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা প্রমাণিত হল। এইভাবে দমানো যাবে না তাঁদের।
তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছিল কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছেন! পুলিশ বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় সায়নীর গাড়ি। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করারও অভিযোগ রয়েছে। সায়নীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তবে অবশেষে জামিন পেলেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, এদিন বিকেলেই ধর্নায় বসা তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অমিত শাহ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং সেই রাজ্যে হিংসা বন্ধের সব রকম চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর অত্যাচার এবং যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি, এই ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাক্ষাতের সময় চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১৬ জন।