বনগাঁ পুরসভায় ভাঙন, পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ

বনগাঁ: নজিরবিহীন৷ তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ১৪ তৃণমূল কাউন্সিলরের৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর অবশেষে বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে পদ ছাড়তে নির্দেশ তৃণমূলের৷ সোমবারের মধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র দলকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ৷ একই সঙ্গে অনাস্থা আনা কাউন্সিলরদের নিয়ে সোমবার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের

বনগাঁ পুরসভায় ভাঙন, পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ

বনগাঁ: নজিরবিহীন৷ তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ১৪ তৃণমূল কাউন্সিলরের৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর অবশেষে বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে পদ ছাড়তে নির্দেশ তৃণমূলের৷ সোমবারের মধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র দলকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ৷ একই সঙ্গে অনাস্থা আনা কাউন্সিলরদের নিয়ে সোমবার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ দলের তরফে নির্দেশ প্রসঙ্গে শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও নির্দেশ পাননি৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পুরসভার তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলর৷ তৃণমূলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান কাউন্সিলরদের একাংশ৷ পরে, উপ-পুরপ্রধান সহ আরও ৩ কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন৷ ২২ আসনের এই পুরসভায় দুটি আসন রয়েছে বিরোধীদের৷ ২০টি আসন রয়েছে তৃণমূলের দখলে৷ কাউন্সিলারদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সেই মতোই আজ অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয় মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে৷

বনগাঁ পুরসভায় ভাঙন, পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ

অনাস্থা আনার পরই বনগাঁর পুরসভার ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিরুদ্ধে থানায় ‘নিখোঁজ’ অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান৷ দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতেই ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত শহর বনগাঁর রাজনীতি৷ বনগাঁ পুরসভার দলীয় চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁর খোদ পুলিশ সুপারের কাছে ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ নিখোঁজ অভিযোগ দায়েক হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মন্তব্য তুলে ধরলেন ১১ জন কাউন্সিলর৷ অনস্থা নিয়ে দলের অন্দরেও ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, তাতে বরফ না গলায় শুরু হয় জল্পনা৷

চেয়ারম্যানের দাবি, ১১ কাউন্সিলরকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না৷ আসনেন না পুরসভায়৷ আর তাতেই ভেঙে পড়েছে পরিষেবা৷ বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগ হতেই ‘নিখোঁজ’ ১১ জন কাউন্সিলর ফেসবুক লাইভ করে জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই একত্রিত রয়েছেন৷ তাঁরা কেউ নিখোঁজ হয়ে যাননি৷ বাড়িতেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে৷

কাউন্সিলরদের দাবি, তাঁরা তৃণমূলেই আছেন৷ তৃণমূলেই থাকবেন৷ কিন্তু, বর্তমান পুরপ্রধানের নেতৃত্ব আর মানবেন না৷ যদিও এই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সীমান্ত শহরের বাসিন্দাদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ জোর করে দখলদারির রাজনীতি-সহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − eighteen =