নয়াদিল্লি: নতুন প্রজাতির আতঙ্কের মাঝেই আজ দেশবাসী আরো বেশি স্বস্তি পেল। কারণ আজ দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি অ্যাক্টিভ দেশের সংখ্যা বিরাট কমে গিয়েছে। এই প্রথমবার দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের নীচে নেমেছে। তুলনায় অনেক কম দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে এখনই অসচেতন হওয়ার কোন কারণ দেখছেন না বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা কারণ ওমিক্রন আতঙ্ক ভরপুর।
আজ দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৫৪ জন, এবং এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬৭ জনের। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪৭ জনের। এই মুহূর্তে দেশের সংক্রমণের হার ৫.৩৯ শতাংশ যা গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৮১ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে টিকাকরণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ১২৪ কোটি ডোজ। আপাতত দেশের টিকাকরণ হয়েছে ১২৪ কোটি ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৫০ ডোজ, শেষ একদিনে হয়েছে ৮০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭১৬ ডোজ। আর এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৯ হাজার ০২৩ জন, যা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর সর্বনিম্ন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ম মেনে চলতে এবং সচেতন থাকতে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুক মাণ্ডবীয় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে এখনো পর্যন্ত এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মেলেনি কিন্তু সব রকমের সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে যাতে পরে পরিস্থিতি জটিল না হয়ে যায়। বিশ্বমঞ্চে সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকাতে এই প্রজাতির খোঁজ নিলে ছিল এবং তারপর থেকে ব্রিটেন, ইটালি থেকে শুরু করে জার্মানি এবং ভারতের পড়শী দেশ চিনেও এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। তাই সব রকম ভাবে সচেতন হয়ে থাকতে হবে ভারতবাসীকে তা বলাই বাহুল্য।