লখনউ: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার মাঝেই ফের একবার নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। এই ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই গভীর চিন্তায় রয়েছে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী কারণ আবার সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন ভয় রয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু দেখেছে দেশ। এখনো দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট ভয় ধরায়। তার মধ্যে আবার ‘ওমিক্রন’ হানা। পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে শুধুমাত্র এই ধারণা থেকেই উত্তর প্রদেশের এক অধ্যাপক খুন করলেন তার পরিবারের সদস্যদের! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কল্যাণপুর অঞ্চলের এক অধ্যাপক নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন। ওই এলাকার এক ফরেনসিক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। গলা টিপে স্ত্রীকে খুন করার পাশাপাশি দুই সন্তানের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে তাদের খুন করা হয়েছে। অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটানোর পর অধ্যাপক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পালানোর আগে নিজের ভাইকে মেসেজ করে বলে দিয়েছেন যে কেন তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যে মেসেজ তিনি তার ভাইকে পাঠিয়েছেন সেখানে অধ্যাপক লিখেছেন, মেডিকেল কলেজে এত মৃতদেহ আসছে যে তিনি গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন যে করোনাভাইরাস কাউকে ছেড়ে দেবে না এবং সবাই এই নতুন প্রজাতির কারণে আবার মারা যেতে শুরু করবে। সেই কারণে নিজের পরিবারের সদস্যদের ‘মুক্তি’ দিতে তাদের খুন করেছেন তিনি। নতুন প্রজাতির সংক্রমণের কারণে যাতে তাদের কারোর ভোগান্তি না হয় সেই চেষ্টাই নাকি তিনি করেছেন।
এই মেসেজ পাওয়ার পর অধ্যাপকের ভাই তার ফ্ল্যাটে যান এবং তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন ওই অধ্যাপক এবং সন্তানদের মাথায় হাতুড়ি মারার ফলে তাদের মাথার খুলি ফেটে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ভয়াবহতা স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে বিগত কয়েক মাস ধরেই তীব্র হতাশায় ভুগছিলেন ওই অধ্যাপক এবং তার চিকিৎসা চলছিল। এর আগেও একাধিকবার নিজের স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা করেন তিনি কিন্তু সফল হননি।