মুম্বই: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর মনে করা হয়েছিল যে এবার জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাথমিকভাবে সেই ইঙ্গিত মিললেও এখন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে সমীকরণ। বিভিন্ন ইস্যুতে বারংবার কংগ্রেসকে একহাত নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির এবং যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি নয়াদিল্লি এবং মুম্বই সফরে গিয়েছিলেন মমতা এবং তাঁর এই সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলছেন মমতা নিজের কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে দিন দিন। তবে বাকি দল যেমন শিবসেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যদিও কংগ্রেস প্রশ্নে তারা কিছুটা উদাসীন।
সম্প্রতি শিবসেনার মুখপত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস ইস্যুতে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনে যদি কংগ্রেস ১০০ আসন না পায় তাহলে কেন্দ্রে বদল প্রায় অসম্ভব। এই প্রেক্ষিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমত হতে পারছে না উদ্ধব ঠাকরের দল। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্টভাবে একাধিকবার দাবি করে আসছে যে কংগ্রেস একা কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু শিবসেনা বলছে সম্পূর্ণ উল্টো কথা। তাদের সাফ বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখলে বিজেপির হাত শক্ত করা হবে।
বাণিজ্য নগরীতে যে সফর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেখানেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু শারীরিক সমস্যার জন্য সেই সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি তবে মমতা দেখা করেছেন উদ্ধব পুত্র আদিত্যর সঙ্গে। এছাড়াও একাধিক শিল্পপতি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এনসিপি সুপ্রিমো সরকারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে দেখা দিয়েছে তাঁকে।