ব্যাটিংয়ে ধস, অনুশাসনের অভাব! লড়েও আরসিবি’র কাছে হার কলকাতার

ব্যাটিংয়ে ধস, অনুশাসনের অভাব! লড়েও আরসিবি’র কাছে হার কলকাতার

কলকাতা: আইপিএল মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচেই ধাক্কা৷ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় কলকাতা। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় ফ্যাফ ডু’প্লেসিসের আরসিবি। কেকেআরের এই হারের জন্য দায়ী ব্যাটিং বিপর্যয়৷ সেই সঙ্গে রয়েছে অনুশাসনের অভাবও৷  অন্যদিকে দারুণ খেলে মন জিতে নিল আরসিবি শিবিরের দুই বঙ্গ ক্রিকেটার৷ 

আরও পড়ুন- ফের চমক! বিশ্বের ৩ নম্বরকে হারিয়ে নতুন রেকর্ড প্রজ্ঞানন্দের

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে যান কলকাতা। শুরু থেকেই দুর্বল ছিল নাইটরা। গোড়াতেই কেকেআরের ব্যাটিং দুর্গে আঘাত হানেন আরসিবি’র হয়ে মাঠে নামা বাংলার পেসার আকাশদীপ। মাত্র ১৪ রানের মাথায় ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। আরসিবি’র বোলিং আক্রমণের মুখে পড়ে দ্রুত আউট হয়ে যান নীতীশ রানাও৷ সুনীল নারাইন ও স্যাম বিলিংস কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও, বড় রান আসেনি তাঁদের ব্যাট থেকেও।

পর পর দু’বলে নারাইন ও শেল্ডন জ্যাকসনকে আউট করে নাইট রাইডার্সদের জোড় ধাক্কা দেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। শূন্য রানে ফেরেন শেলডন৷ রাসেল কয়েকটি বড় শট খেললেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকটে পারেননি। ২৫ রানের মাথায় তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরত ফেরান হর্ষল পটেল। ২ ওভার বল করে কোনও রান না দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি৷  একটা সময় কলকাতার স্কোর ছিল ৪৬ রানে ৪ উইকেট৷  এদিকে সঠিক সময়ে বোলিং পরিবর্তন ও ঠিক জায়গায় ফিল্ডার রেখে কলকাতাকে দারুণ চাপে রাখেন ডু’প্লেসিস৷  

তবে শেষ উইকেটে উমেশ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী জুটি না বাঁধলে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হত কলকাতাকে। উমেশ ১৮ ও বরুণ ১০ রান করেন। সব মিলিয়ে ১৮.৫ ওভারে ১২৮ রানে ইতি পড়ে কলকাতার ইনিংসে। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে হাসারঙ্গা ৪ ও আকাশ দীপ ৩টি উইকেট নেন৷

রান তাড়া করতে নেমে শুরু ভালো হয়নি আরসিবি’রও৷ প্রথম ওভারেই উমেশের বলে আউড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অনুজ রাওয়াত৷ তাঁর স্কোর শূন্য৷ অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিস ৫ এবং কোহলি মাত্র ১২ রান করে আউট হয়ে যান ৩ ওভারের মধ্যেই। ফ্যাফের উইকেটও নেন উমেশ৷ সেই সময় প্রবল চাপে পড়ে যায় আরসিবি। কিন্তু সেখান থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করেন রাদারফোর্ড এবং ডেভিড উইলি। ৬২ রানে তাঁদের জুটি ভাঙার পর মনে হচ্ছিল আরও একবার চাপে পড়বে আরসিবি। কিন্তু ব্যাট হাতে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ। মাত্র ২০ বলে ২৭ রান যোগ করেন তিনি। রাদারফোর্ড করেন ২৮ রান। শেষে প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক আরসিবিকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ৩ উইকেটে জিতে যায় কোহলিরা।