নয়াদিল্লি: নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর সংঘাতে কেন্দ্র-রাজ্য৷ আধাসেনার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করল নাগাল্যান্ড পুলিশ৷ এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় পুলিশের গাইড ছাড়াই অভিযান চালানো হয়েছে৷ স্থানীয়দের খুন ও আহত করাই নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল৷’
আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন, মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৭, জয়পুরে সংক্রমিত একই পরিবারের ৯ সদস্য
অন্যদিকে, নাগাল্যান্ডে গুলিকাণ্ডে সকাল থেকেই উত্তাল সংসদ৷ এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নাগাল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে নাগাল্যান্ড যেতেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল৷ এই দলে ছিলেন তৃণমূলের আরও তিন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, অপরূপা পোদ্দার এবং মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেওয়া হয়৷ নাগাল্যান্ডে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা৷
জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রাম থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে চেপে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। সন্ত্রাসবাদী ভেবে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গ্রামবাসীদের কথায়, নিহত গ্রামবাসীরা খনি থেকে কাজ সেরে রাতে ঘরে ফিরছিলেন৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা বাড়ি না ফেরায় তাঁদের খুঁজতে বেরয় পরিবারের লোকজন৷ তখনই ট্রাকের মধ্যে তাঁদের পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ তাঁরাই দেহগুলি উদ্ধার করে৷
পুলিশ সূত্রে পাল্টা দাবি, এদিন তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চলার সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ তাদের গুলিতেই মৃত্যু হয় গ্রামবাসীদের৷ পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় গ্রামবাসীরা৷