নয়াদিল্লি: দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের নিচে রয়েছে আজ কিন্তু নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখনই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় কেন্দ্রীয় সরকার তাই টিকাকরণের জোর দেওয়া হচ্ছে এবং যথেষ্ট সর্তকতা পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিঠি দিয়ে নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে যথেষ্ট সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। তবে একে একে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩০৬ জন এবং এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, গত একদিনে গোটা দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮৩৪ জন এবং এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪১৬ জন, যা ৫৫২ দিনে সবথেকে কম। এছাড়াও বিগত কয়েকদিন ধরেই এক লক্ষের নিচে রয়েছে এই সংখ্যা। সব মিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, দেশের মৃত্যুর তথ্য একেবারেই সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকার আসলে মৃত্যুর তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। যদিও সেই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত পোক্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি। এদিকে এখনো পর্যন্ত দেশে প্রায় ১২৮ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রম৷ একাধিক রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ এবার একসঙ্গে ৭ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল মহারাষ্ট্রে৷ অন্যদিকে রাজস্থানে ওমিক্রমে আক্রান্ত একই পরিবারের ৯ জন৷ জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রে ৭ জন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ৪ জন বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন৷ বাকিরা তাঁদের সংস্পর্শে আসে৷ অন্যদিকে জয়পুরে আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন ফিরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে৷ ফলে সব মিলিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৷