আজ বিকেল: দলবদল আর কাটমানির গেরোয় এখন বেজায় বিপাকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিদিনই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সৌজন্য দল ছেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা। ভাঙন রুখতে জেলার নেতাদের সভ্যভব্য হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নেতারা যে কাজের নামে অষ্টরম্ভা আর কাটমানি খেতে ওস্তাদ তা তিনি ভালমতোই জানেন। রীতিমতো বৈঠক করে নেতাদের সাবধান করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কাটমানি খেয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশ্বনাথ পাহান। খবর পেয়েই টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করলেন চাকরি প্রার্থীরা।
দিদির নির্দেশ পেয়েই দলের অন্দের কাটমানি ফেরতের হিড়িক পড়ে যায়। বীরভূম, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা কাকে ছেড়ে কার নাম করি। যাইহোক অনেকেই এই তালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে পাড়ি দিচ্ছেন। অভিযোগ, কাটমানি ফেরানো ঝামেলায় না গিয়ে দল বদলে টাকা বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর তৃণমূলে জেলা ও পঞ্চায়েত স্তরের নেতারা, এই অভিযোগ প্রায় ১০০ শতাংশ সত্য বলে দাবিও করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে কাটমানির দাবিতে সাধরণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে তৃণমূল নেতাদের। শুক্রবার তেমনই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বনাথ পাহান। সরকারি চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল যুবক। এদিন বিশ্বনাথবাবু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে খবর ছড়ায়। তারপরই টাকা ফেরতের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এদিন সকালে বালুরঘাটের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহন্ত পাড়ায় বিশ্বনাথবাবুর বাড়ির সামনে ১৫-৩০ জন চাকুরিপ্রার্থী বিক্ষোভ শুরু করে। তাঁদের দাবি, বিশ্বনাথ পাহান সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিলেও চাকরি মেলেনি। বার বার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি উল্টে পুলিশের ভয় দেখান বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীরা বিশ্বনাথবাবুর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়লে এদিন জানালার কাচ ভেঙেছে। গন্ডগোল উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও বিশ্বানাথ পাহানের দেখা মেলেনি,তাঁর স্ত্রী মিতালি পাহানের দাবি স্বামী কলকাতায় গিয়েছেন। আর বিক্ষোভের বিষয়টি তিনি জানেন না।