নয়াদিল্লি: হয়তো কেউই এই ধরনের ঘটনা কখনো কল্পনা করতে পারেননি কিন্তু আজ অনভিপ্রেত সেই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত সহ ১৩ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে আরো অনেক মৃত্যুর কথা। এর আগে একাধিকবার আকাশপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তার কারণে মৃত্যু হয়েছে কখনো সেনা আধিকারিক বা কখনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের।
বিপিন রাওয়াতের দুর্ঘটনার কথা বাদ দিলে এর আগে একাধিকবার কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হয়েছে বিমান বা কপ্টার দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম যার কথা মনে পড়বে তিনি হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। ১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। দিল্লি ফ্লাইং ক্লাব এর কাছে সেই বিমান ভেঙে পড়েছিল।
এর পরের কথা বলতে হয় মাধবরাও সিন্ধিয়ার। ২০০১ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ কথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। উত্তর প্রদেশের মৈনপুরী জেলার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এরপর ২০০৯ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখরা রেড্ডীর। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রায়ান সীমার কাছে এই কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
আবার ২০১১ সালে একই ভাবে মৃত্যু হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডোর্জি খান্ডুর। তাওয়াং থেকে ইটানগর যাওয়ার পথে আকাশপথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এর একটি সেনা কপ্টার ভেঙে পড়েছিল সেখানে তিনজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছিল।
তবে বিপিন রাওয়াত এর আগেও একবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছিলেন কিন্তু তখন তিনি আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যান। ঘটনা ছিল ২০১৫ সালের। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। সেনা হেলিকপ্টার ‘চিতা’ প্রায় কুড়ি ফুট ওপর থেকে ভেঙে পড়ে কিন্তু এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত। আজকের এই দুর্ঘটনা ৬ বছর আগের সেই দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। তবে আজ তাঁকে আমরা হারালাম।