নয়াদিল্লি: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেশের সিডিএস বিপিন রাওয়াতের। সেই হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মধুলিকাও, তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। বিপিন রাওয়াতের ব্যাপারে দেশের মানুষ অবগত থাকলেও অনেকেই জানেন না যে, তাঁর স্ত্রী মধুলিকাও দেশের সেবা করতেন, কিন্তু সেটা একটু অন্যভাবে। যুদ্ধক্ষেত্রে বা সীমান্তে দাঁড়িয়ে নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এবং তাদের জীবনের বড় ভরসা হয়ে দেশসেবা করতেন তিনি।
আসলে বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী একজন সমাজসেবী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। সেনাবাহিনীর শহীদদের বিধবা স্ত্রীদের জন্য বা শহীদ সেনা কর্তা ও জওয়ানদের সন্তানের জন্য কাজ করতেন তিনি। মধুলিকা রাওয়াত ‘ডিফেন্স ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের’ সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন ‘আর্মি ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের’ সঙ্গে। এই দুই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের পাশে সব রকম ভাবে দাঁড়াতেন তিনি। বিউটিশিয়ান কোর্স করানো থেকে শুরু করে কেক এবং চকলেট তৈরি করা শেখানোর মত মহিলাদের স্বাবলম্বী করার কাজ করতেন মধুলিকা। শুধু এখানেই থামেনি তিনি। শোনা গিয়েছে ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করতেন বিপিন-জায়া।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত সহ ১৩ জন। আজ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে যার ভেতরে ছিলেন এনারা সকলেই। সিডিএস রাওয়াতের এই আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ গোটা দেশ। বহু যুদ্ধের নায়ক সিডিএস বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ আরো অনেকে। তথ্য অনুযায়ী, যে চপার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেটি হল MI-17, এবং এর ভেতরে সিডিএস বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী ছাড়াও ছিলেন নায়েক গুরসেবক সিং, নায়ক জিতেন্দ্র কুমার, ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল। জানা গিয়েছে, মাত্র কুড়ি মিনিটের সফর ছিল তাঁদের কিন্তু আকাশে ওড়ার আট দশ মিনিটের মাথাতেই এই বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে যায়।