বোলপুর: প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে গেলে বীরভূমের মল্লারপুর স্টেশন লাগোয়া একটি ক্লাব৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ দু’তলার বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে৷ পাশের একটি বাড়িতে টিনের চালও উড়ে গিয়েছে৷ উড়ে গিয়েছে ক্লাবের ছাদ৷ খসে পড়েছে ক্লাব ঘরের পিলার৷ ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছে লোহার শাটারও৷ ক্লাবের ভিতরে থাকা ৭ ফুট উঁচু আলমারি ছিটকে পড়েছে রাস্তায়৷ তবে, বড়বড় বিস্ফোরণ ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের কোনও খবর জানানো হয়নি স্থানীয় প্রশাসনের তরফে৷ বিস্ফোরণের কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে, কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে মল্লারপুর থানার পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে৷ মুহূর্তেই শুরু হয়ে যায় আশঙ্ক৷ পুলিশ এসে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ ডাকা হয় দমকল৷ জল ঢেলে সব সাফ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু, বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ না করে জল দিয়ে তা সাফ করে দেওয়ার ঘটনায় উঠছে নানান প্রশ্ন৷ ক্লাবের ভিরত কী ধরণের বিস্ফোরক ছিল, কেন ওখানে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল? কেন বিস্ফোরণ ঘটল? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ বীরভূমের এই ঘটনার সঙ্গে খাগড়াগড় কাণ্ডের মিল পাচ্ছেন অনেকেই৷ স্থানীয়দের একাংশের আশঙ্কা, খাগড়াগড় কাণ্ডে যেমন প্রথমিক প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল, ঠিক তেমনই কি ব্যবস্থা নেওয়া হল মল্লারপুর বিস্ফোরণ কাণ্ডেও? তবে, স্থানীয়দের মনে এহেন প্রশ্ন আসার পিছনের রয়েছে বেশ কিছু ঘটনা৷
West Bengal: A blast occurred in Meghdoot club near Mallarpur railway station last night in Birbhum. Investigation is underway. pic.twitter.com/ZnDKl9elLV
— ANI (@ANI) June 30, 2019
সম্প্রতি, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চার জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ৷ ধৃতরা প্রত্যকেই বিস্ফোরক তৈরিতে ওস্তাদ৷ এখনকি, জঙ্গিরা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ভাড়া করে জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু করেছিল৷ ছিল নাশকতার ছক৷ ফলে, চার জামাত জঙ্গির গ্রেপ্তারি ও মল্লারপুর ক্লাবে বিস্ফোরণের পিছনের ঘটনাও ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷