ভেঙে পড়ার আগে অনেকটা নীচু দিয়ে উড়ছিল CDS রাওয়াতের চপারটি, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে চাঞ্চল্য

ভেঙে পড়ার আগে অনেকটা নীচু দিয়ে উড়ছিল CDS রাওয়াতের চপারটি, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে চাঞ্চল্য

47a966fcb3a6613d890e1b99df2e5f4f

নয়াদিল্লি: মর্মান্তিক চপার দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত৷ কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও নাশকতা বা অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব৷ এই নিয়ে যখন কাটাছেড়া চলছে, তখন উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বলছে, দুর্ঘটনার আগে খুব নীচ দিয়ে যাচ্ছিল সিডিএস রাওয়াতের চপার৷ ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷ কিন্তু এত নীচু দিয়ে কেন উড়ছিল চপারটি? 

আরও পড়ুন- আজই অন্তিমযাত্রায় জেনারেল রাওয়াত, চোখের জলে CDS-কে বিদায় জানাবে দেশবাসী

প্রত্যনক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, কুন্নুরের কাত্তেরি পার্কের কাছাকাছি পৌঁছনোর পর আচমকাই চপারটি অনেক নীচে নেমে যায়। বুধবার ওই পার্কে এক পর্যটকের তোলা সেই ভিডিয়োটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশার মধ্যেি দিয়ে যাওয়ার সময় জেনারেল রাওয়াতের চপারটি অনেকটাই নিচে চলে এসেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘন কুয়াশার মধ্যে মিলিয়ে যায় চপারটি৷ এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘আচমকা জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। তার পরেই দেখি জঙ্গল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আমার ভাইয়ের বাড়ির ঠিক সামনেই ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। তাতে আগুন ধরে যায়৷ সেখানে এতটাই উত্তাপ ছিল যে আমরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি। শুধু স্থানীয় মানুষই নয়, পার্বত্য এলাকা হওয়ায় দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারেনি উদ্ধারকারী দলও৷ 

বায়ুসেনার অন্যতম দক্ষ পাইলট উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিং চৌহান কি ঘন কুয়াশার জেরেই কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে৷ তবে এমআই-১৭ ভি ফাইভের মতো কপ্টার যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম৷ তাহলে ঘন কুয়াশায় কেন তা বিভ্রান্ত হবে? এখনও পর্যন্ত এর সদুত্তর নেই৷ সেনার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অত্যাখধুনিক রুশ চপারটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না৷  যথাযথ ভাবে এটি রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়েছে৷ সেই সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, সিডিএস কপ্টারে সওয়ার হওয়ার আগে তিনবার কপ্টারটির যান্ত্রিক নিরীক্ষণ করা হয়েছিল। এমআই-১৭ কপ্টারটি সাড়ে ১৩ হাজার কেজি ওজন বহনে সক্ষম৷ এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘ওয়েদার রেডার’৷ এহেন শক্তিশালী সেনা কপ্টারটি ভেঙে পড়ার পিছনে এখনও গ্রহণযোগ্য কোনও যুক্তি মেলেনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *