কলকাতা: জেলা সভাপতি পদ থেকে অপসারণের পরই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা মালদহের বিজেপি নেতা সঞ্জিত মিশ্রের৷ সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতির অভিযোগ, এইভাবে অপসারণ কোনও গণতান্ত্রিক দলের কাজ হতে পারে না৷ আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কথা শুনবেন৷ তবে, এখানেই থামেননি তিনি৷ রাজ্য বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷
সম্প্রতি, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ৮ জন সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ মালদহের জেলা সভাপতি করা হয়েছে গোবিন্দ মণ্ডলকে৷ আর তাতেই বাড়ছে ক্ষোভ৷
বাংলা দখলের লক্ষ্যে এবার নতুন সাজে নামছে বঙ্গ বিজেপি৷ বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করতে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল প্রক্রিয়া শুরু রাজ্য বিজেপি শিবিরে৷ দলের তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে ইতিমধ্যেই ৮ জন সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে বদল করেছে গেরুয়া নেতৃত্ব৷
সূত্রের দাবি, আগামী দিনে আরও একাধিক জেলা সভাপতিকে সরিয়ে ওই জায়গায় নতুন মুখ আনা হতে পারে৷ জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট পর্বে বিজেপির একাধিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকে অন্তর্ঘাত সহ নানা নালিশ জমা পড়ছিল রাজ্য নেতৃত্বের কাছে৷ ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় দিলীপ ঘোষের নিজস্ব টিম তৈরির বিষয়টিও এই বদল প্রক্রিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে৷ একইসঙ্গে থাকছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পরোক্ষ প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলেও বিজেপি সূত্রে খবর৷ জেলার নিয়ন্ত্রণ আরএসএস ঘনিষ্ঠদের হাতে রাখা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে৷