কলকাতা: প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া উষশী সেনগুপ্ত হেনস্থা মামলায় দু’দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের জামিন মিলেছিল৷ কিন্তু, তাতেও দেওয়া হয়েছিল কড়া ধারা! এবার এনআরএস-কাণ্ডে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তার পেটানো হোতাদের জামিল মিলল মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই৷ আজ সোমবার ডাক্তার পিটিয়ে ধৃত পাঁচ অভিযুক্তরে জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে শিয়ালদহ আদালত৷ মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মিললের নির্দেশ আদালতের৷
আজ ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখেন৷ কিন্তু, ২০ দিনের মধ্যে মামলার অগ্রগতি না দেখে অভিযুক্তদের পাঁচ জনকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের নির্দেশ দেন বলে আদলাত সূত্রে খবর৷ দু’হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃতদের জামিন দেয় শিয়ালদহ আদালত৷ কিন্তু, এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডাক্তার পেটানোর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়৷ জামিন অযোগ্য ধারা মামলা করা হলেও মামলার অগ্রগতি না থাকায় জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে গুরুত্ব মামলায় ২০ দিনেও অগ্রগতি করতে পারল না পুলিশ? যে ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা লাটে তুলে দিয়েছিল৷ তার পরও কীভাবে অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়ে গেল মাত্র ২০ দিনের মধ্যে?
গত ১০ জুন এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৮৪-এর এক রোগীর৷ চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস৷ ট্রাক ভর্তি লোক এসে জুনিয়র ডাক্তারদের পিটিয়ে চম্পট দেয়৷ মারপিট হয় রোগী ও জুনিয়র ডাক্তারের মধ্যে৷ অশান্তির মাঝে মাথায় আঘাত লাগে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের৷ ক্ষোভে বিদ্রোহে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকেরা৷ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়৷ টানা এক সপ্তাহ ধরে লাটে ওঠে বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ধৃতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার আশ্বাসে জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার পরই তদন্তের অগ্রগতি না দেখে অভিযুক্তদের পাঁচ জনকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের নির্দেশ দেন বলে আদলাত৷