কলকাতা: রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাব খারিজ হতেই মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যবাসীর ভাবাবেগকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলার করার প্রস্তাব গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ মমতা৷ সংসদের চলতি অধিবেশনেই রাজ্যের নাম পরিবর্তনের সংশোধনী আনার দাবিও জানিয়েছেন মমতা৷ বাংলা’র নাম বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ করানো হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন তিনি৷
গত বছর ২১ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে রাজ্যের তরফে চিঠি দিয়ে এই একই অনুরোধ করা হয়৷ কিন্তু, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আশ্বাসও দেন৷ কিন্তু, কিন্তু সেই প্রস্তাব কেন্দ্র ফিরিয়ে দেওয়ায় মমতা যে অসন্তুষ্ট, তা দিয়ে মোদিকে চিঠি পাঠিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee has written to PM Narendra Modi regarding change of name of West Bengal to ‘Bangla’.CM requested to get the amendment done in the ongoing session of Parliament (file pic) pic.twitter.com/1Yo0Kjthsv
— ANI (@ANI) July 3, 2019
দীর্ঘ টালবাহানার পর এবার রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিল কেন্দ্র৷ নাম বদল করতে গেলে বহু জটিলতা রয়েছে৷ বদলাতে হবে সংবিধানিক ধারা৷ দীর্ঘ এই জটিলতার ধকল কেন্দ্র সরকার নিতে চাইছে না বলে বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়৷ মোদীর মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসাবে উঠে আসা বিহারের উজিয়ারপুরের বিজেপির সাংসদ নিত্যানন্দ রায় রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব কেন্দ্র অনুমোদন দিচ্ছে না৷ কারণ নাম পরিবর্তন করতে গেলে নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে৷
যদিও রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপনেতা সুখেন্দুশেখর রায়৷ সংসদে দাঁড়িয়ে সুখেন্দুশেখর রায় জানান, ২০১৮-র জুলাইয়ে পশ্চিমঙ্গ বিধানসভা রাজ্যের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু, কেন্দ্র সরকারের তরফে কোনও অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি৷ এই বিষয়ে রাজ্যসভার সচিবকে চিঠিও পাঠানো হয় তৃণমূলের তরফে৷ এরপরই আজ, কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গকে বাংলা করবে না মোদির সরকার৷
এর আগে রাজ্যের নাম পরিবর্তনের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় ‘পশ্চিম’ শব্দটি তুলে বাংলা ও বেঙ্গল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ সেই প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করিয়ে পাঠানো হয় কেন্দ্রকে৷ কেন্দ্র পুরো বিষয়টি পর্যালোচনার পরে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৩টি ভাষাতেই এক ধরনের নাম বাছতে বালা হয়৷ এবং তা খারিজ করে দেওয়া হয়৷ এরপর বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষাতেই বাংলা নামের প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ কিন্তু সেই পরিবর্তিত প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ না করায় আপত্তি তোলে কেন্দ্র৷ পরে, বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে তা ফের পাঠানো হয়৷ তবে প্রস্তাব পাঠানো হলেও, কেন্দ্রের তরফে প্রথমে কোনও জবাব না দিলেও তৃণমূল সাংসদরে চিঠির জবাবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়৷