‘দুর্গা পুজোর অনুমতিতে নতুন কোনও বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে না’

কলকাতা: পথ আটকে দুর্গা পুজোর অনুমতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছে নবান্ন৷ নেওয়া হতে পারে কড়া পদক্ষেপ৷ নবান্নের গ্রিভ্যান্স সেলে পথ আটকে পুজো করার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায়, ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারে নবান্ন৷ থানায় থানায় এই মর্মে নির্দেশ জারি হয়েছে বলেও খবর৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পথ আটকে পুজো করার ছাড়পত্র দেওয়ার

‘দুর্গা পুজোর অনুমতিতে নতুন কোনও বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে না’

কলকাতা: পথ আটকে দুর্গা পুজোর অনুমতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছে নবান্ন৷ নেওয়া হতে পারে কড়া পদক্ষেপ৷ নবান্নের গ্রিভ্যান্স সেলে পথ আটকে পুজো করার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায়, ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারে নবান্ন৷ থানায় থানায় এই মর্মে নির্দেশ জারি হয়েছে বলেও খবর৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পথ আটকে পুজো করার ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়া করা হতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর৷ কিন্তু, নবান্নের এই কড়া অবস্থান নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলকাতা পুলিশের৷

ফেসবুক পোস্টে কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘সংবাদমাধ্যমের একাংশে দুর্গাপূজার অনুমতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।নিহিত স্বার্থ নিয়ে কিছু মানুষও এই বিভ্রান্তি ছড়ানোয় শরিক হয়েছেন।আপনাদের জানাই, এ বছরের পূজায় অনুমতির ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না।আগের বছরগুলিতে যে পদ্ধতিতে পূজার অনুমতি দেওয়া হত, এ বছরও সেই নিয়মই চালু থাকবে৷’’

রাস্তা আটকে আর পুজো করা চলবে না৷ এমনকী গেট, আলোকসজ্জার জন্যও রাস্তা ব্যবহার করা যাবে না বলে আগেই পুলিশের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করা দেওয়া হয়৷ সূত্রের খবর, এবারও এই একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে৷

কলকাতা শহরে দুর্গাপুজোর মতো সামাজিক উত্সবের ক্ষেত্রে মাসের পর মাস রাস্তা অর্ধেক বা পুরো বন্ধ রাখার জন্য কমবেশি সমস্যায় পড়েন শহরের আধ কোটি জনসংখ্যার এক বড় অংশ৷ মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর কলকাতা জুড়ে যে প্রবল জ্যামজট দেখা দিয়েছিল, তার পিছনে শহরের অলিতে গলিতে রাস্তা বন্ধ করে গজিয়ে ওঠা প্যান্ডেলদের দায়িত্ব অনেকখানি বলে মনে করেন অনেকেই৷

শুধুমাত্র রাস্তা বন্ধ করে প্যান্ডেলই তো নয়, শহরের পুজোগুলি আকারে, প্রকারে ও প্রচারে যত বাড়ছে, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মদতে পুষ্ট হচ্ছে, ততই লাগামছাড়া হচ্ছে তাদের আড়ম্বর৷ অনেক পুজোর কর্তাব্যক্তিরাই মনে করছেন, পুজোকে জাঁকজমকে বাড়িয়ে মানুষের অসুবিধা করাটাই আধুনিক পুজোর সাফল্য ও স্টেটাস সিম্বল৷ পুজোকে ঘিরে যত যানজট, মানুষের থেমে থাকা লাইনের দৈর্ঘ্য যত, ততই তো বাড়তি আমোদ আর ‘বড় পুজো’র তকমা৷ ঠিক একই ভাবে উঠছে, আরও একটি প্রশ্ন, রাস্তাজুড়ে যেমন পুজো বন্ধ করার বিষয়ে উদ্যোগ দিচ্ছে রাজ্য, ঠিক তেমনই বিশেষ বিশেষ দিনে পথ আটকে প্রার্থনা করার উপরও জারি হোক বিধিনিষেধ৷ তাহলে কোনও পক্ষেরই আর আপত্তি থাকবে না৷ তৈরি হবে না বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 3 =