রাজ্যের বিরুদ্ধে পথে নামতেই সব্যসাচীর ছাঁটাই প্রস্তুতি তৃণমূলে!

কলকাতা:তাঁকে ঘিরেই যত বিতর্ক৷ এবার সেই বিতর্কের মূল উপড়ে ফেলতে প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের৷ বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেবিদ্যুৎ ভবনে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু তৃণমূল নেতৃত্বের৷ মেয়র সব্যসাচী দত্তকে এড়িয়ে বিধাননগর পুরসভার ৪১ জন কাউন্সিলরদের ডেকে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বৈঠকে দলীয় কাউন্সিলদের

রাজ্যের বিরুদ্ধে পথে নামতেই সব্যসাচীর ছাঁটাই প্রস্তুতি তৃণমূলে!

কলকাতা:তাঁকে ঘিরেই যত বিতর্ক৷ এবার সেই বিতর্কের মূল উপড়ে ফেলতে প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের৷ বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেবিদ্যুৎ ভবনে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু তৃণমূল নেতৃত্বের৷ মেয়র সব্যসাচী দত্তকে এড়িয়ে বিধাননগর পুরসভার ৪১ জন কাউন্সিলরদের ডেকে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বৈঠকে দলীয় কাউন্সিলদের ডাকা হলেও সব্যসাচীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই খবর৷

এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ মুকুল রায়ের সঙ্গে লুচি আলুর দম বির্কতে সব্যসাচী একবার সুযোগ দেওয়া হলেও এবার খুব সম্ভবত তা আর হচ্ছে না৷ দলের বিড়ম্বনা বাড়ানোর দায়ে এবার মেয়র সব্যসাচীকে বহিস্কার করা হতে পারে৷ তবে, তৃণমূল থেকে সব্যসাচী বহিস্কার হলে বিজেপির পথ খোলা বলেও মনে করছেন অনেকেই৷ ঠিক যেভাবে অনুুপম হাজরা থেকে শুভ্রাংশু রায় রায় বহিষ্কৃত হয়েছিলেন৷

শুক্রবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেবিদ্যুৎ ভবনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পুলিশের সঙ্গে আইএনটিটিইউসির ধস্তাধস্তি৷ বিক্ষোভে ভাঙল বিদ্যুৎ ভবনে মূল দরজার কাচ৷ বিদ্যুৎ ভবনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভে নেতৃত্বে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ এদিন আইএনটিটিইউসি সমর্থীত সরকারি কর্মীদের একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকে চেষ্টা করে৷ বাঁধা দেয় পুলিশ৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়৷

এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কিছু পুলিশ বন্ধু এসেছেন, আমাদের আটকাতে৷ আমার শুধু এই টুকুই আহ্বান, যখন এখান থেকে ডিউটি সেরে বাড়ি যাবেন বা এখান থেকে ডিউটি সেরে থানায় যাবেন, গিয়ে বলবেন এক গ্লাস জল দে৷ পাখাটা চালাতে যাবেন, দেখবেন পাখা চলছে না৷ এক গ্লাস জল চাইবেন, আপনার কর্মচারীটি এছে বলবে, জল দেব কোত্থেকে৷ পাম্প চলছে না৷ আর বাড়ি গেলে বউ যখন বলবে, বিদ্যুতের বিল দিতে হবে, তখন পকেটে হাত দিয়ে দেখবেন পকেট ফাঁকা৷ পকেট ফুটো হয়ে গিয়েছে৷ আর তা না হলে কাটমানিয়ে নিতে হবে৷ না হলে সংসার চলবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =