মুম্বই: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস নিয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভেঙে দেওয়া এক বিষয় নয়৷ তাই কেউ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তা প্রতারণা বলে বিবেচিত হতে পারে না৷ বুধবার এমনই রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- ফুচকার ফিউশন! অভিনব ফুচকা বানিয়ে তাক লাগালেন বিক্রেতা
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সববাসের অভিযোগে এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মহারাষ্ট্রের নিম্ন আদালত৷ নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে যায় ওই যুবক৷ সেই মামলার শুনানির সময়েই আদালত জানায়, সহবাসের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেই তা প্রতারণা নয়৷ মহারাষ্ট্রের এই মামলায় অভিযুক্ত যুবকের নাম কাশীনাথ ঘারত৷ বাড়ি পালঘরে৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন৷ অথচ বিয়ের কথা উঠতেই তিনি বেঁকে বসেন৷ এর পরেই কাশীনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ আনেন তাঁর প্রেমিকা৷ নিম্ন আদালতের বিচারপতি কাশীনাথকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিলেও প্রতারণার দায়ে তাঁকে এক বছরের সাজা শোনান৷ নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেন কাশীনাথ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাইয়ের পর্যবেক্ষণ, সঙ্গিনীর সাক্ষ্য অনুযায়ী তিনি কাশীনাথের কাছে প্রতারিত হননি। দু’জনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল৷
বম্বে হাইকোর্ট আরও বলেন, “এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন, তেমন কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি। ফলে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করতে না চাওয়াকে প্রতারণা বলা ঠিক হবে না।” এক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ প্রমাণ করতে হবে যে বিয়ের বিষয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন অভিযুক্ত৷ সেক্ষেত্রেই একমাত্র তাকে প্রতারক বলে বিবেচনা করা হবে।”