আজ বিকেল: দয়া করে যখন তখন মন্তব্য করবেন না, অন্তত তিনমাস মুখটি বন্ধ রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একথাই বললেন তাঁর নবনিযু্ক্ত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যে তৃণমূল সরকারে যে উন্নয়নের কাজ করেছে তার ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই সেসব উন্নয়ন চাপা পড়েছে। সামনেই বিধানসভার ভোট, তার আগে অন্তত কোনও বিষয় চটজলদি মন্তব্য করে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনুন তৃণমূলনেত্রী, তা চাইছেন না প্রশান্ত কিশোর।
কেননা একটা সময় এই মন্তব্য মমতার ইউএসপি থাকলেও আজ দিন বদলেছে, তৃণমূলের খারাপ সময় বর্তমান। সামান্য মন্তব্যও ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে। এই অবস্থায় তাঁকে রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। তিনি হয়ত স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তার জবাব দেবেন, কিন্তু ফল ফলবে উল্টো। বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে জনসমর্থন খুইয়ে ফেলুক শাসকদল, এটি কখনওই কাম্য নয়। তাইতো মুখ বন্ধ রাখার কৌশল শুরু হয়েছে। গত দশ বারো দিন ধরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সমস্ত উত্তর কিন্তু দিচ্ছেন না মমতা। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডাটা ঠিক চালু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখার পর দিদি স্বাভাবিক ভাবেই বিরক্ত ছিলেন। সেই কারণে কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সংখ্যালঘু ভোটের প্রশ্নে বলে ফেলেন, ‘যে গরু দুধ দেয়, তার লাথিও খাব’। এ কথা বলার পিছনে রাজনৈতিক ভাবনায় ভুল ছিল না। কিন্তু উপস্থাপনা হয়তো ঠিক হয়নি। আবার ভোটের আগে পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছিলেন, “কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই কাউকে দোষারোপ করা ঠিক হচ্ছে না”। তখন সেই কথাটিও মানুষ হয়তো ভাল ভাবে নেননি। তবে এটুকুই নয়, জেলা নেতাদের একাংশের নেতিবাচক রাজনীতিও আজ তৃণমূলের এই অবস্থার জন্য দায়ী। তাইতো খাদ্য সাথী, কন্যাশ্রী, সবুজ শ্রী ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার যে উপভোক্তা শ্রেণি তৈরি করেছে, তাদের অনেকের ভোটও শুধু নেতিবাচক রাজনীতির জন্যই তৃণমূল পায়নি। এইবেলা এহেন পরিস্থিতির জন্য যত্নবান না হলে বিপদ